পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সু। কঠোর মনুষ্যত্বের স্মৃতিচিহ্ন বক্ষে ধারণ করিয়া জগতের সম্মুখে আত্মপ্রকাশ করিয়া থাকে । , আমাদের ক্ষুদ্র বাঙ্গালী জীবনে সে অর্থ সে সুযোগ, সে শক্তি লাভ করা দুরূহ। জাহাজে চড়িয়া বিদেশগমনে ত সামাজিক অধিকারই নাই, কিন্তু চক্ষু থাকিলে, হৃদয় থাকিলে জাহাজে চড়িয়া বিদেশে না গিয়া ও আমাদের প্রাকৃতিক সৌন্দৰ্য্য-স্পৃহা। চরিতার্থ হইতে পারে। আমাদের ভারতবর্ষকে ভগবান জগতের শ্রেষ্ঠ প্ৰাকৃতিক শোভা হইতে বঞ্চিত করেন নাই ; এক হিমালয়। —তাহার নিভৃত হৃদয়ে কত রত্ন নারচক্ষুর অন্তরাল করিয়া রাখিয়াছে, আমরা কি তাড়ার কিছু সন্ধান রাখি ? শৃঙ্গের পর শৃঙ্গ, শত শত গিরিশৃঙ্গের মুক্ত শোভা, সহস্ৰ নিঝরের অস্ফুট করতান, কত বিচিত্ৰ পুষ্পল তা, কত প্ৰাচীন স্মৃতি-বিজড়িত সুপবিত্র তীর্থ, এই হিমা । লয়ের দুৰ্গমবক্ষে সংগুপ্ত রহিয়াছে। ইউরোপ হইলে এই এক হিমালয়ের সত্স সহস্ৰ বিভিন্ন মনোরম দৃশ্য অবলম্বন করিদ্মা বহু পুস্তক বিরচিত হইতে পরিত, কিন্তু আমাদের ?--"আমাদের (২) ক, খানিও নাই । কেন নাই, এ কথার উত্তর অতি সহজ । যেখানে রেল পথ যায় নাই, অনেক স্থানে পথ পৰ্য্যন্ত ও নাই ; আহার সামগ্র সেখানে পাওয়া যায় না, শয়নের সুবন্দোবস্তও যে অঞ্চলে নাই, আমাদের গায় শ্রমবিমুখ, বিলাসপ্রিয়, সুখলিপ্তম্ভ, বঙ্গযুবক সখের খাতিরে < সকল বিপদসঙ্কল দুৰ্গম পাৰ্ব্বত্য প্রদেশে ভ্ৰমণ করিতে যাইবেন, ইহা একবারেই অসম্ভব । শিক্ষিত সৌখিন লোকের সে সকল স্থানে গতিবিধি নাই ; যে সকল পুণ্যলাভেচ্ছ, মুক্তিপথাবলম্বী সন্ন্যাসী এই সকল দুলভাদর্শন স্থানে জীবন বিপন্ন করিয়া পদব্ৰজে ভ্ৰমণ করিয়াছেন, তঁহাদের মধ্যে বোধ করি একজনেরও এ ইচ্ছা বা ক্ষমতা নাই যে, এই পুণ্যময় পার্বত্য ভূমির মধুর কাহিনী ভাষায় লিপিবদ্ধ করিয়া আমাদের পাঠক সমাজের কৌতুক নিবারণ করেন। । r