পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Go হিমালয় । অনেক ‘চড়াই উৎরাই” দেখেছি, কিন্তু এমন “চড়াই উৎরাই” আর কোন দিন নজরে পড়ে নি। বরাবর শুধু চড়াই আর উৎরাই। বহুকষ্টে আধ মাইল চড়াই উঠলুম ; ওঠা যেই শেষ হলো, অমনি আবার উৎরাই আরম্ভ ; আবার যেই উৎরাই শেষ হলো অমনি চড়াই আরম্ভ। নাগরদোলার মত কেবল চড়াই আর উৎ রাষ্ট । সমান জমি কি সামান্য উচু নীচু রাস্তা মােটেই নেই ; এই রকম তিন চারটি চড়াই উৎরাই পার হোলেই মানুষের জীবাত্মা ত্ৰাহি মধুসূদন ডাক ছাড়ে। আমি কতবার ক্ৰমাগত সাত আট মাইল চড়াই উঠেছি, কিন্তু কখন এত কষ্ট হয় নি। একবার উঠা তার পরেই নামা, এতে যে কি কষ্ট তা বুঝান সহজ নয়। বুকের হাড় ও পাজরাগুলো যেন চড় চড় কোরে ভেঙ্গে যায় ; তার সঙ্গে সঙ্গে আবার সর্বনেশে তৃষ্ণ ; এই মাত্র ঝরণার জল খাওয়া গেল, পরীক্ষণেই মুখ নীরস, গলা শুকনো, যেন কতকাল জল খাওয়া হয় নি ; বুকের মধ্যে কে যেন মরুভূমি সৃষ্টি কোরে রেখেছে। তবে সুখের মধ্যে এই পথে যত ঝরণা, এত ঝরণা। আর এ পাহাড় রাজ্যের কুত্ৰাপি দেখি নি; আর এত ঝরণা আছে বলেই এ পথে মানুষ চলাচল কোবুতে পারে । রাস্তায় চোলাতে আরম্ভ কোরে গন্তব্য স্থানে না পৌছিয়ে আর আমি কখন বিশ্রাম করিনে ; কিন্তু এই ভয়ানক পথে এ রকম জিদ বজায় থাকলো না। চলি আর বসি এবং ঝরণা দেখলেই সেখানে গিয়ে অঞ্জলি পূরে জল থাই। রাস্তায় চার পাঁচবার বিশ্রাম কোরে এবং দশ বারে। বার জল খেয়ে শরীরের সঙ্গে শক্তির সঙ্গে, আর এই বিষম।। পথের সঙ্গে প্রবল যুদ্ধ কোরতে কোরাতে আট মাইল দূর পাণ্ডুকেশ্বরে। উপস্থিত হোলুম। বেলা তখন প্রায় ৯টা। এতখানি রাস্তা আমি তিন ঘণ্টায় এসেছি। শুনলুম, যে সকল সন্ন্যাসী পাহাড় ভ্ৰমণে অত্যন্ত অভ্যস্ত। তাহারাও পাঁচ ছয় ঘণ্টার কম বিষ্ণুপ্রিয়াগ হোতে পাণ্ডুকেশ্বরে আস্ত