পাতা:হিমালয় - জলধর সেন.pdf/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्भिाव्लव R খুব বাহাদুরী আছে; হনুমান বেচারাকে খুব প্ৰকাণ্ড কোরে অকতে হবে, অতএব সূৰ্য্যকে তার কুক্ষিগত করানো হোলো ; বিজ্ঞানের উন্নতি স্তু সঙ্গে সুৰ্য্যের আকার বিস্তৃততর হয়েছে, সুতরাং হনুমানজীর মহিমার তাতে বৃদ্ধি বই হ্রাস হয়নি। এই রকম কুম্ভকর্ণের নাসারন্ধ, খুব বড় দেখানো দরকার—অতএব তার এক এক নিশ্বাসে বিশ পচিশটে রাক্ষস বানর উদরে প্রবেশ কোলছে, আর বের হোচ্ছে ! কিন্তু তারপর যখন যুক্তি ও তর্কের কাল আসে, তখন এই সমস্ত গাঁজাখুরী গল্পের এক | একটি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা প্ৰস্তুতের অত্যন্ত দরকার হয়ে পড়ে। তাতে । দিনকত চারিদিকে খুব বাহ বা পোড়ে যায় বটে, কিন্তু শেষ ফল। এই হয় যে, এই সমস্ত গল্পের সেই প্রাচীন স্নিগ্ধ ভাবগুলি ও সম্পূর্ণ বিনষ্ট হয় এবং তা হোতে একটা নূতন সত্য আবিস্কারের চেষ্টা ও ব্যর্থ হয়ে । পড়ে। এই সমস্ত কথা চিন্তা করুতে কাবুতে আরো দু’মাইল চ’লে এসে । গাডোয়ালের রাজধানী শ্ৰীনগরে প্রবেশ করে। গেল। { শ্ৰীনগাল ১৪ই মে, বৃহস্পতিবার । বেল প্ৰায় এগারটি , , সময় গাড়োয়ালের প্ৰধান নগর শ্ৰীনগরে উপস্থিত হওয়া গেল । ভারতবর্যের উত্তরে দুই শ্ৰীনগর আছে , এক হচ্ছে ভূস্বৰ্গ, কবিতা ও কল্পনার চিরলীলানিকেতন, সমগ্ৰ হিমালয় প্রদেশের রম্য কুঞ্জ কানন কাশ্মীর রাজধানী, আর অন্যটি এই গাডোয়ালের প্রধান নগর । কাশ্মীর রাজধানীর তুলনায় এ শ্ৰীনগর অবশ্য অনেকটা হীন, কারণ এখানে প্ৰকৃতির সৌন্দৰ্য্যই আছে, কিন্তু সে সৌন্দৰ্য্য বেশী কোরে ফুটিয়ে তোলার জন্যে কোন আয়োজন এখানে হয় নি, কিংবা মানবের রুচি এই সৌন্দৰ্য্য উপভোগ করুবার অন্যে কোন কৃত্ৰিম উপায় অবলম্বন করে নি । কিন্তু তবু এ সৌন্দৰ্য্যের