পাতা:হুতোম প্যাঁচার নক্সা-দ্বিতীয় ভাগ.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দুর্গোৎসব । Yo গীজ গীজ গীজ, নাক টুপ্‌ টুপ টুপ্‌ শব্দে ঢোল, কাড়ানাগর ও ট্যামৃটেমী বেজে উঠলে ; কামার শরাতে সমাংস করে দিলে পাঠার মুড়ির মুখ চেপে ধরে দালানে পাঠান। হলো, এদিকে অ্যাকৃজন মোসাহেব সন্তপণে খপরেপ শর আচ্ছাদন কর্যে প্রতিমের সম্মুখে উপস্থিত কল্পে, বাবুর বাজনার তরঙ্গের মধ্যে হাক্তালী দিতে দিতে ধীরে ধীরে চণ্ডীমণ্ডপে উঠলেন-প্রতিমার সাম্নে দানের সামগ্রী ও প্রদীপ জেলে দেওয়া হলে আরতি আরম্ভ হলে, বাবু স্বহস্তে ধবল গঙ্গাজল চামর বীজন কত্তে লাগলেন,ধূপ ধুনোব ধোযে বাড়ি অন্ধকার হযে গ্যাল, এইরূপে আধঘণ্টা আবতীব পর শাক বেজে উঠলে, সবাবু সকলে ভূমিষ্ট হযে প্রণাম করে বৈঠকখানায় গ্যালেন । এদিকে দালানে বামুনরা নৈবিদ নিয়ে কড়াকড়ি কত্তে লাগলো। দেখতে দেখতে সপ্তমীও ফুরালে । ক্রমে নৈবিদ বিলি, কাঙ্গালী বিদায ও জলপান বিলানোতেই সে দিনের অবশিষ্ট সময অতিবাহিত হযে গ্যাল, বৈকালে চণ্ডীর গানওয়ালাবা খানিক্‌ ক্ষণ আসর জাগিয়ে বিদায হলো—জগা স্যাকর চণ্ডীর গানের প্রকৃত ওস্তাদ ছিল, সে মরে যাওযাতেই আর চণ্ডীর গানের প্রকৃত গায়ক নাই ; বিশেষত এক্ষণে শ্রোতাও অতিস্থলভ হযেছে। ক্রমে ছটা বাজ লো, দালানের গ্যাসের ঝাড় জেলেদি য প্রতিমার আরতী আরম্ভ করে দেওয়া হলো এবং মা দুর্গাব শেতলের জলপান ও অন্যান্য সরঞ্জামও সেই সময দালানে সাজিযে দেওযা হলো-মা দুর্গ যত খান বা না খান, লোকে দেখে প্রশংসা কল্লেই বাবুব দশটাকা খরচের সার্থকতা হবে।