পাতা:হেক্‌টর বধ - মাইকেল মধুসূদন দত্ত.pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০৪
হেক্‌টর বধ।

তথাচ সে বৈরীনির্যাতনার্থে তাহার গ্রীবাদেশে দংশন করিল। পক্ষিরাজ এ অসহনীয় দংশন পীড়ায় কাকোদরকে ছাড়িয়া দিলে সে ভূতলে সৈন্য মধ্যে পড়িল। পক্ষিরাজ শূন্য ক্রমে সনীড়ে উড়িয়া চলিল। পলিদ্যুম্ন বীর ভ্রাতাকে কহিলেন, “হে হেক্‌টর! এ কি কুলক্ষণ দেখিলাম, এ প্রপঞ্চ ব্যর্থ নহে। আমি বিবেচনা করি, যে বিপক্ষ-দলকে রণক্ষেত্রে বিনষ্ট করা আমাদের ভাগ্যে নাই। এই ক্ষত ভুজঙ্গের ন্যায় বিপক্ষচতুরঙ্গ দল আমাদের সৈন্যের ক্রমপরাক্রমে আক্রান্ত হইয়াও তাহার গলদেশ দংশন করিবে, সন্দেহ নাই। অতএব হে ভ্রাতঃ! আইস আমরা ঐ সকল সাগর যান ভস্মসাৎ করিবার আশায় জলাঞ্জলি দিয়া পরিখার অপর পারে যাই।” ভাস্বর কিরীটী হেক্‌টর ভ্রাতার এইরূপ বাক্যে বিরক্ত হইয়া কহিলেন, “হে পলিদ্যুম্ন! তুমি এ কি কহিতেছ? স্বজন্মভূমির রক্ষাকার্য্য এত দূর পর্য্যন্ত শুভ, ও কর্ত্তব্য কার্য্য, যে তাহা হইতে কোন কুলক্ষণ দর্শনে পরাঙ্মুখ হওয়া উচিত নয়।” বীরদ্বয় এইরূপ কথোপকথন করিতেছেন, এমত সময়ে দেবকুলপতির ঔরসজাত নরদেবাকৃতি রথী সর্পীদন্‌ স্ববলে সিংহনিনাদে রণক্ষেত্রে প্রবেশ করিলেন। যেমন মৃগেন্দ্র কোন পর্ব্বতকন্দরে বহুদিন অনশনে উন্মত্ত প্রায় হইয়া আহার অন্বেষণে বাহির হইয়া বক্রশৃঙ্গ বৃষপালকে দূর হইতে দেখিতে পাইলে পালদলের ভৈরব রব ও শলাকাবৃন্দে অবহেলা করিয়া বৃষসমূহকে আক্রমণ করে এবং প্রাণান্তেও আহার লাভ