পাতা:হেমচন্দ্র.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NVස হেমচন্দ্র । দ্বিতীয় গর্ভাঙ্ক । ーe米e ( পৰ্ব্বতশিখর ; সন্ধ্যাকাল ; ইন্দুমতী, শৈবলিনী ও একটী হরিণী । ) ইন্দুমতী। শৈশব কালেতে, সখি, এ গিরি-শিখরে উঠিয়ছি কত দিন খেলিতে সঙ্গিনী সহ; খেলেছি নেচেছি কত মনের উল্লাসে ; মৃদুল পবনে যবে নিবার সলিলে মাচিত তরঙ্গ-রাজি, পড়িয়া সে জলে নাচিত শশির ছবি, হেরিতে কৌতুকে আসিতাম কত দিন ; ভাবিতাম এ নীল আকাশ, এ চাদ সুন্দর, অাছে লো আবার সখি জলের ভিতর ; ছাড়িয় নিবার যবে আসিতাম বনে, দেখিতাম কত শত ফুটেছে কুসুম-সুন্দর, সৌরভে দিক আমোদিত করি, আনন্দে নাচিয়া যাইতাম তুলিবারে ; ফুটিত কণ্টক যবে শৈশব শরীরে, কঁদি অসিতাম ঘরে, কছিতম দুঃখে কে গো মা দুর্জন সে যে রেখেছে ঘেরিয়ে কঁটি দে এ রাঙা ফুলে; সুখদ সন্ধার কালে, নব তৃণদলে, শুইয়৷ থাকিত যবে হরিণ হরিণী মুখে মুখ দিয়া, ভেবে না পেতেম সখি, কেমনে কথা ন কছি, উপজিত প্রেম সখি দোহার ভিতরে । সুখের শৈশব কাল গেল লে বহিয়া, আইল যৌবন-আইসে যথা উষ। অন্তে অঙ্কণ তাম্বরে হাসাইয়। দশ দিক্‌ অৰুণ বরণে—আইল তেমতি ; যৌবনের সখী, আশা, আসিয়ে সোহাগে, দেখাতে মুখের ছবি কত লে। সুন্দর, হাসি দেখিতাম আমি তাচ্ছিল্য অন্তরে, ভাবিতম এই মত সখি চির দিন, আমিও দেখিব সুখে ; এবে না মাচিত পদ, নাচিত হৃদয়, না ছসিত মুখ সখি, ছাসিত অধর, হাসিত চঞ্চল আঁখি, হাসয়ে যেমতি সখি ফুল্ল কমলিনী বিমল সলিল মাঝে মৃদুল সমীরে ; একাকিনী আসিতাম নিবারের পাশে, দেখিতে কি পূৰ্ব্বমত গগনের ছবি ? দর্পণ মুকুর কথা শুনি লোক মুখে, দেখি নাই চক্ষে কতু, প্রকৃতি মুকুর সখি নিবার সলিলে ছেরিবারে যাইতাম আপনার ছবি ; ষড়ঋতু ফুল-রাজি নিতি নবসাজে রাখিত সাজায়ে, রাখয়ে যেমতি প্রজাগণ অধিরাজী তরে যতনে রতন-রাজি, গিয়ে লষ্টতাম আমি যা মনে লইত ।