छ् ठौश्ा यन्ह । Nの> একদ। পূর্ণিম। তিথি সন্ধার সময়ে, একাকিনী আসিলাম এ বিজন বনে ; ছেরিলাম জ্যোৎস্নাময় অমৃত সাগরে, কনক কুসুম-রাজি ভাসিছে চৌদিকে— ভাসিছে লে। জীবগণ প্রফুল্ল-হৃদয়ে ; গাইছে মধুর গীত বিহগ বিহগী ; পুরিছে জগৎ রাজ্য ঝুম ঝুম* রবে, রজত-নুপুর যথা বাজয়ে বিনোদ, সঙ্গীতলহরী সহ ; তুলি বনরত্ব, বসি, গাগিলাম হার, এমন সময়ে সখি সহস। সম্মুখে হেরিনু কৌলিক-বরে ; হাসিয়া নিকটে আসি কছিল আমারে— * সুন্দরি কাছার লাগি গাঁথিলে এ হার ? ? সাধের কুসুম-মাল ফেলিয়ে ভূমিতে, আসিলাম গৃহে আমি সভয়ে দৌড়িয়ে ; তুলিয়ে কুসুম-হার আসিল পশ্চাতে ; পর দিন সন্ধ্যাকালে আসি মম গৃহে, বুঝাইল নানা মতে বিবাহ করিতে— শূদ্রানী হুইয়ে হবে ব্রাহ্মণ গৃহিণী, থাকিবে আশ্রমে সদ। আশ্রম সুখেতে, আদর করিবে সবে, পূজিবে অনেকে, সোহাগে রাখিব সদা নয়নে নয়নে’-ললিত মুরলী-দ্বনি নিঃশব্দ নিশীথে যুড়ায় শ্রবণ যবে, কে চাহে জানিতে বাজাইছে কোন জন ? স্বতন প্রেমের কথা বাজিল নুতন, বাজিল বিনোদ সখি, বাজিল ক্ষুন্দর ; সহসা চঞ্চল আঁখি আবেশে দুলিল, মোছিল সহসা প্রাণ দিলাম সম্মতি ; দিলাম সম্মতি র্তারে হইতে লে। পতি, পতি ব’লে সম্বোধন করি সে অবধি ; কিন্তু সখি প্রাণপতি বলিনি কখন । শৈবলিনী । সে কি সখি প্রাণপতি কি কখন বল নি ? ( হাসিয়। ) ব’লেচ বোধ হয় এখন মনে হয় না— ইন্দুমতী । যৌবন কুসুম সখি ফুটিল সময়ে, ফুটবে সময়ে যাছ কে পারে রাখিতে ? উড়িল পরাগ-রাজি মৃদুল মাকতে, আইল মধুপ ; মধুর ভাণ্ডার সখি এ প্রাণ আমার আছিল মুদিয়া তবু—কেন যে মুদিয়াছিল ন জানি কারণ—সহসা সে দিম সখি যে দিন এ আঁখি ছেরিল সে চাদমুখ, যেন কি কুছকে ফুটিল এ প্রাণ মোর ; প্রণয় রতন আছিল হৃদয়ে জানিলাম সেই দিন ; জানিলাম, ভাসিলাম নুতন মুখেতে— শৈবলিনী। দেখ সখি কে আস্চে—
- এই প্রদেশে এক প্রকার পতঙ্গ আছে যাহার সন্ধ্যাগমে মধুর ঝুম ঝুম ধ্বনি কবে
