পাতা:হেমচন্দ্র.pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অঙ্ক । ©ጫ হেমচন্দ্র। ইন্দুমতি, তুমি শীঘ্র আমাকে পরিত্যাগ কর—নচেৎ— ইন্দুমতী । (পাগলিনীর ন্যায় হাসিয়া ) নচেৎ কি ? আমি তোমার— হেমচন্দ্র। কখনই না ; একমাত্র প্রণয়িনী সরলাই আমার । ইন্দুমতী। সরল যে হয় হউক—এখন আমিই তোমার— হেমচন্দ্র। ন—তুমি শীঘ্র আমার গলদেশ পরিত্যাগ কর । ( শুক্রাচার্য্য ও চারিজন কৌলিকের সহসা প্রবেশ । ) শুক্রাচাৰ্য্য। (সরোষে) অভিসারিকার অনুসন্ধান পেয়েছি—রে রুতয়, নরাধম, চণ্ডাল হেমচন্দ্ৰ ! o হেমচন্দ্র । হেমচন্দ্র কখনই কৃতঘ্ন নয়—আমি নির্দোষ, নিষ্পাপ— তোমার কুলটা রমণীই— ইন্দুমতী (মন্দ বিকট হাস্য করিয়া) তুমিই আমাকে কুলটা করেছ— শুক্রচার্য্য। (সরোষে) এই দুশ্চরিত্রীকে আমার নেত্রপথ ছ’তে অপসারিত কর, শীঘ্র কর— (জনৈক শিষ্য বল পূর্বক ইন্দুমতীকে লইয়া গমন । ) আর এই কৃতয়কে এক্ষণি বন্ধন ক’রে, ইহার পাপের সমুচিত শাস্তি দেও ! জনৈক শিষ্য। আর্য্য, অনুমতি কৰুন কি শাস্তি দিব ? শুক্রাচাৰ্য্য। শীঘ্ৰ বক্লি প্রজ্জ্বলিত ক’রে ইহাকে বিশ্বাসঘাতক-চিহ্লে চিন্ত্রিত ক’রে এ স্থান হ’তে বহিষ্কৃত কর— হেমচন্দ্র । ত কখনই হবে না, আমি বিশ্বাসঘাতক নছি, আমার কথ। শুনুন, আমি বিনয় করে বলচি শাস্তি দিবার পূৰ্ব্বে আমার কথা শুনুন। শুক্রচার্য্য । যথেষ্ট শুনেছি, যথেষ্ট দেখেছি, এই মিথ্যাবাদীর মুখে জ্বলন্ত অঙ্গার দেও; মিথ্যাবাদিনৃ! তুই এ পাপে প্রথম দোষী নস্ ; আমি