পাতা:হে অরণ্য কথা কও - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ĉĝo Vegg6J Kee <s'é আছে, টেনিস আছে, রেডিও আছে। আবার চলেচি ছোট্ট ট্রেণে বনপথে, বাদিকে হামশাদা নদী বনের পথে মৰ্ম্মর শব্দে বয়ে গিয়ে কোইনাতে মিশেচে । চিড়িয়াতে পৌছে দেখি সামনের বহু উচু পাহাড়ের গা বেয়ে খাড়া রেলপথ উঠেচে পর্বতশিখরে । Skip উঠেচে মোটা তারের বন্ধনে-রাঙা ধুলোমাখা হো কুলী মেয়েরা সর্বত্র কাজ করচে । আমাদের skip দিয়ে ওপরে উঠবার সময়ে বেশ লাগলো, BBD uYYLiDBD DDDLD DBBD DDSS S BDBD DB BBD DDD পারতো না এ পথে-ও যা ভীতু ! ওপরের শিখরে উঠে নীচে চেয়ে সমতলভূমির অপূর্ব দৃশ্য চোখে পড়লো। ১৪৩০ ফুট ওপর থেকে নীচের দিকে দেখচি এমন ভাবে, ঠিক যেন একটা উচু বাড়ীর ছাদের কানিসে ঝুকে আছি। এ সব দৃশ্য চোখে না দেখলে বোঝানো | २ || এই লৌহপ্ৰিস্তরের বিরাট শৈলমালা লেদাবুরু, অজিতাবুরু ও বুদ্ধাবুরু এই তিনটি নামে অভিহিত । এর সর্বোচ্চ শিখর হোল বুদ্ধাবুরু, ২৭০০ ফাট উচু। অনাবৃত লৌহপ্ৰিস্তরের বিরাট শৈলগাত্র সেদিন পনেরো মাইল দুৱ মনোহরপুর বাংলো থেকে দেখেছিলুম। সৃষ্টির আদিম যুগে এত লোহা পৃথিবীর উষ্ণ গলিত ধাতুস্রাব থেকে তৈরি হয়েছিল কিংবা ফটেন্ত গর্ভকেন্দ্র থেকে ঠেলে উঠেছিল-কে বলবে! মাথা ঘুরে যায় এই বিরাট বস্তুপুঞ্জ একজায়গায় পৰ্ব্বতাকারে জমাট বাধা অবস্থায় দেখলে । কি সে মহাশক্তি, কোন সে মহাদেবতা-এই সব বস্তুপিণ্ড যিনি লীলাচ্ছলে সাজিয়ে গিয়েচেন, কোন প্ৰচণ্ড শক্তির বলে এই বিশাল লৌহ পৰ্ব্বত পৃথিবীগৰ্ভ থেকে উখিত হয়েচে, এসব ভূতত্ত্ববিদেরা বলবেন, আমরা শুধু বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে চেয়েই আছি । আমরা চলেচি, আসলে “আংকুয়া ২৯’ নামক বনবিভাগের চিহ্নিত So O