পাতা:হে অরণ্য কথা কও - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

び褒 51%" や a| マ 8 তৃণাবৃত প্ৰান্তরকে সম্ভব করবার, রূপ দেবার প্রাক-আয়োজন মাত্র। আগুন কেন ? জল সম্ভব হবে বলে । হঠাৎ দেখি মেঘ করে আসচে। কালবৈশাখী নিশ্চয়-ছিটিতে ছুটতে একমাইল এসে নদীতে আমাদের বনসিমতলার ঘাটে নামি । কি চমৎকার নদী জল, পুণ্য সলিলা ইছামতী প্ৰতি সন্ধ্যার নিস্তব্ধতায় গত দশ পনেরো বছর ধরে শ্ৰামায় কত কি শিখিয়েচে । ভগবানের কত রূণই প্রত্যক্ষ করেছি ইছামতীতে সাঁতার দিতে দিতে এমনি কত নিদাঘা সন্ধ্যায়, বর্ষা অপরাহের বৃষ্টিধারামুখর নির্জনতায় । আজও দেখলুম, কুষ্ঠীর দিকে কি অদ্ভুত কালো মেঘ সজ্জা --উড়ে আসচে। ভাঙা নীল কুঠাঁটার জঙ্গলের দিক থেকে আমাদের ঘাটের দিকে । কি সে অদ্ভুত রূপ । বিশ্বরূপের এ সব রূপ-এ পটভূমিতে, এমন অবস্থায় দেখবার সৌভাগ্য আমায় দিয়েচেন বলে তাকে ধন্যবাদ দিলাম। তিনিই দয়া করে যাকে দেখতে দেন, সে-ই দেখে । সারাদিন কাটলো টেনে। তিন বার অপূর্ব দৃশ্য দেখলাম-একবার ব্ৰাহ্মণী নদীর সেতুর কাছে বিস্তৃত কটা রংয়ের বালুরাশির ওপর দিয়ে। শীর্ণকায় দ্বিধারা ব্ৰাহ্মণী বয়ে চলেচে-দূরে নীল পর্বতনালা, ঘন সবুজ বনানী । বাংলাদেশের বন অথচ তার পেছনে আকাশের গায়ে সিংতুমের চেয়ে শ্যামলতার শৈলশ্রেণী। আর একবার এই রকম দৃশ্য দেখলাম কটকের এপাশে মহানদীর সেতু থেকে এবং ওপাশে কাটজুড়ির সেতু থেঠে । ট্রেন যত পুরার কাছাকাছি আসতে লাগলো বনবনানী ততই শ্যামলতার, নারিকেল কুঞ্জ ততই ঘনতর, দোলায়মান বেণুবনশ্রেণী ততই নবতর রূপ পরিগ্রহ করতে লাগলো। ভুবনেশ্বর স্টেশনের কাছে অনেকদূর পর্য্যন্ত মাকড়া পাথরের মালভূমি বা টাড় এবং এক প্রকারের G