পাতা:হে অরণ্য কথা কও - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6छ् ° ९ ७ এতদিন পরে ‘রমা ভিলা”তে বসে সেই সব পুরোনো কথাই মনে পড়ছিল। আজ আর কেউ নেই।-কোথায় বা সেই সিদ্ধেশ্বর বাবু কোথায় বা অক্ষয় ৱাবু। এত সাধ করে ‘রমা ভিলা’র সদর ফটক সেবার ১৯২৩ সালে করানো হোল-ওরা কোথায় চলে গেল! গেটটি আজও আছে দেখে এলুম। লাইব্রেরীতে কালিদাস উৎসব সম্পন্ন হোল। প্রিয়রঞ্জন সেনের দাদা কুমুদবন্ধু সেন বক্তৃতা দিলেন। আমিও কিছু বললাম সভাপতি হিসেবে। মনে পড়লো বারাকপুরে গ্রীষ্মের ছুটি অতিবাহিত করবার সময়ে প্রতি বৎসর খুকুর কাছে বলতাম-আজ ১লা আষাঢ়, খুকু এসো কালিদাসকে স্মরণ করি। এতকাল পরে ভাল করেই স্মরণ করা হোল কালিদাসকে। বিকেলে আবার খুৱদারোড থেকে আমাকে নিতে এল-সেখানেও ওবেলা “বৰ্ষা মঙ্গল” অনুষ্ঠিত হবে । পুরী থেকে তো কাল চলেই যাবো। খুরদা রোড পৰ্যন্ত ফাস্ট ক্লাসে নিয়ে গেল রাধাকুমুদ মুখোপাধ্যায়কে, তুষারকান্তি ঘোষকে এবং আমাকে। জ্যোৎস্নাময়ী রজনী, গুমটি বেশী। ডাঃ সরকারের বাংলার বাইরের মাঠে সবাই মিলে জমিয়ে আডা দেওয়া হোল। রাধাকুমুদ বাবু ও তুষারকান্তি বাবু ভূতের গল্প আরম্ভ করলেন-রাত সাড়ে দশটায় সভা। আমার প্রথম বক্তৃতা-সবাই খুব হাততালি দিলে। মহাদেব রায়ের বক্তৃতা অতি চমৎকার হয়েছিল। পরদিন সকাল আটটার সময় থেকে সারাদিন ট্রেণে। মহানদী ও কাটজুড়ি নদীদ্বয়, দুরের নীল শৈলমালা, কাটজুড়ির বিস্তীর্ণ বালুচর ও তার ধারে সুদৃশ্য কটক সহরটি বেশ লাগলো। সারাদিন চলেচে ট্ৰেণ সন্ধ্যার কিছু আগে সুবর্ণরেখা পার হয়ে বাংলাদেশে পড়লাম। অমৱদা’ রোড স্টেশন থেকে কয়েকটি গোরা সৈনিক উঠলো এবং 8