পাতা:হে অরণ্য কথা কও - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

び獲 で、羽ets 卒st や 8 ফলভারে গাছ অবনত হওয়া বলে-সত্যিই তাই । চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না । সকালে খেয়ে দেয়ে আমরা বনপথে থলকোবাদ রওনা হলুম। সারাও অঞ্চলের বনের মধ্যে কোথাও ফাঁক নেই৩৩০ বৰ্গ মাইল ( ছয়লক্ষ একার ) ব্যাপী ছেদহীন নিবিড় অরণ্য। কোইন নদী পার হয়ে কিছুদূরে বড় বড় শাল গাছ দেখা গেল। পথে বনে সত্যিই চাপাফুলের গাছ দেখা গেল-ভেড লেডিয়া নয়, সত্যিই চাপা । কোন্দলিবাদ নামক বন্য গ্রামে একটি বানান্তবৰ্ত্তী ক্ষুদ্র কুটিরে মিঃ সিনহা ছিলেন। ১৯১৬ সালে-যখন তিনি প্ৰথম বনবিভাগে ঢোকেন। আমরা সেই কুটিরে গেলুম-বন এসে পৌছেচে ঘরের উঠানে। চারিধারে বন ও পাহাড় । মিঃ সিনহা বল্পেন-অদূরে বনে barking deer ডাকতো —ক’ত শুনেছি। বিকেল ৪টার সময় থলকোবাদ বাংলাতে এসে গাড়ী থেকে নামালুম । জঙ্গল ও পাহাড়ে ঘেরা একটি ক্ষুদ্র শৈলোপরি এই অতি সুন্দর বাংলোটি অবস্থিত । আমরা পাহাড়ের প্রান্তে বাংলোর কম্পাউণ্ডে বসে চা খাচ্চি, নিকটের শৈলারণ্যে কর্কশ স্বরে একটা পাখী ডেকে উঠলো। বিজয় আরাদালী বল্লে-ময়ূর। সে এই সারাণ্ডা বিভাগে অনেকদিন আছে। তারপর একটা গম্ভীর শব্দ শোনা গেলমিঃ সিনহা বল্পেন-সম্বর। আমি বাংলোর পিছনে একটা নির্জন স্থানে গিয়ে খানিকটা বসলুম। পাথর বেরিয়ে আছে, শুকনো খটখটি জায়গা । অজস্র বনতুলসীর গাছ। সন্ধ্যার আগে আমরা থলকোবাদ গ্ৰাম ছাড়িয়ে বনের মধ্যে বেড়াতে গেলুম। আমি, রাসবিহারী গুপ্ত ও মিঃ সিনহা । ঘন বন, অন্ধকারে ঝি-ঝি পোকা ডাকচে। ওঁরা প্রথমটা যেতে চাননি হাতীর ভয়ে। সারেণ্ডা অরণ্য বন্য হস্তীতে পরিপূর্ণ। একজন কৰ্ম্মচারী বলছিল বাংলোর কম্পাউণ্ডে রোজ রাত্ৰে হাতী আসে। যেখানে সাইনবোর্ডটা আছে সেখানে তিন দিন আগে হাতী এসে সাইনবোর্ডাখানা 3r