পাতা:হে অরণ্য কথা কও - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

〔变叹召外了夺叫1夺\9 ত্মপুৰ্ব্ব দৃশুই দেখি না কেন, বাল্যের লীলাভূমি সেই ইছামতী তীর যেমন মনকে দোলা দেয়- এমন কোথাও পেলাম না। আর । কিন্তু সেদিন আসা হোলো না, এই ক'দিন কাটলে কলকাতা ও ভাটপাড়ায়। তারপর কাল বনগী হয়ে বাড়ী এসেচি কতকাল পরে। চোখ জুড়িয়ে গেল বাংলার এই বন-ঝোপের কোমল শুষ্ঠামলতায়, তৃণভূমির সবুজত্বে, পাখীর অজস্র কলরোলে। সিংডুমের রুক্ষ, অনুৰ্বর, বৃক্ষ-বিরল মরুদেশে এতকাল কাটিয়ে যেখানে একটা সবুজ গাছের জন্তে মনটা খাঁ খ্যা করে উঠতো, মনে আছে কাশিদার সেই বঁাধের ধারে খানিকটা সবুজ ঘাস দেখে ও সেদিন রাজবাড়ী যাবার পথে একজনদের বাড়ী একটা ঝাঁকড়া পত্ৰবাহুল বৃক্ষ দেখে অবাক হয়ে চেয়েছিলাম-সেই * সব প্ৰস্তরময় ধূসর অঞ্চল থেকে এসে এই পাখীর ডাক, এই গাছপালার প্ৰাচুৰ্য্য কি সুন্দর লাগচে ! যেন নতুন কোন দেশে এসে পড়েচি হঠাৎ, বাল্যের সেই মায়াময় বনভূমি আমার চোখের সামনে আবার নতুন হয়ে ফিরে এসেচে, সব হয়ে উঠেচে আজ আনন্দ-তীর্থের পুণ্য বাতাস-স্পর্শে আনন্দময়, নতুন চোখে সব আবার দেখসি নতুন করে। আজ ওবেলা ইছামতীতে নাইতে নেমে সে কি আনন্দ ! ও পারের সেই সাইবা বলা গাছটা, আর বছর আমি আর কল্যাণী নাইতে নেমে যে গাছটার ডালপালার মধ্যে আটকে-পড়া অস্ত-সুৰ্য্যের রাঙারোদের অপুৰ্ব্ব শ্ৰী মুগ্ধচোখে চেয়ে দেখতাম- সে গাছটা তেমনি আছে। তারপর বিকেলে নগেন খুড়োর ছেলে ফরচুর সঙ্গে কুষ্ঠীর মাঠে বেড়াতে গিয়ে সেই নাবাল জমিটার ধারে নরম সবুজ ঘাসের ওপর বসে ভাবছিলাম গত মার্চ মাণে দেখা মানভূমের সেই নাকটি-টাড় বনের কথা, মানভূমের 38893 في পথের কঁকির ছড়ানো টাড়ের কথা, বামিয়াবুরু ফরেষ্টে উনিশ c. উচু পাহাড়ে সেই রাত্রিযাপনের কথা, চাইবাসাতে ভবানী সিং R • r