পাতা:হে অরণ্য কথা কও - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Vegej RFQ RFe পাশেই সে গুহা দেখলুম। ঢুকলাম তার মধ্যে। এটা আরও বড়, বঁদিকে উচু ঢিবি-মত, লোহা-চোয়ানি জল রাঙা পলি ফেলে আন্দাজ লক্ষ বৎসরে এই মাটির ভূপ তৈরি করেচে। ফরেষ্টার দেখালে-আবার একটা বাঘের দাগ দেখুন হুজুর সত্যি, ঠিক গুহার মুখে লোহা-চোয়ানো রাঙা মাটিতে । —আরও দেখুন, শাহী আর হরিণের পায়ের দাগ-বহুৎ । -*ांशै कि ? মিঃ সিংহ বল্লেন-পকুপাইন ভাবলুম বাঘ আর অন্যান্য বন্য-জন্তুর আডডা তো হবেই এমন গুহাতে। এরও সামনে তেমনি ঘন জঙ্গল, খুব মোটা একটা জংলি, আমগাছ । নিবিড়, দুর্ভেদ্য জঙ্গল চারিপাশে । কত কথা মনে আসে । প্ৰাগৈতিহাসিক মানব কি এ গুহায় বাস করতো ? মেজের মাটি খুড়লে বোধহয় তাদের চিহ্ন, পাওয়া যায়। কত লক্ষ বছরের মৌন ইতিহাস এই গুহার মেজেতে আঁকা আছে-ওই সব বন্য জন্তু-জানোয়ারের মত। কতকাল আগে, পৃথিবীর কোন আদিম শৈশবে এ গুহা তৈরী হয়েচে আপনা। আপনি—কোন আদিম মানব বংশ প্রাগৈতিহাসিক যুগের আদিম অরণ্যানীর মধ্যে এখানে বাস করতো, কত লক্ষ লক্ষ বৎসর দূরে মন চলে যায় মহাকালের বীথি-পথ বেয়ে। বিস্ময়ে মন স্তন্ধ ३63 बांध । বেশি ভাবতে পাৱা যায় না। ঐ বনানী-শীর্ষে রাঙা রোদ যেমন আজ, তেমনি কত লক্ষ কোটি, লক্ষ কোটি সুৰ্য্যাস্ত, সুৰ্য্যোদয়, লক্ষ কোটি লক্ষ কোটি পূর্ণিমা অমাবস্যা দেখেচে এই সুপ্রাচীন পাৰ্বত্যগুহা-ষার তুলনায় বেদ-গাথা রচয়িতা ঋষিরা, উপনিষদের কবিদাৰ্শ کby\