পাতা:হে অরণ্য কথা কও - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

¢ट्र उद्भवं कथं कe না। বেলা সাড়ে পাঁচটায় তিরিলপোসি বাংলায় পৌছে গেলুম। আজ সকালে চ খেয়ে জঙ্গলের মধ্যে অনেকদূরে গেলুম পায়ে হেঁটে । সিংসুম নালা বলে একটি অতি চমৎকার ঝর্ণা বা পাহাড়ী নদী থেকে খানা কেটে জল আনা হচ্চে তিরিলপোসি গ্রামের শাস্তা-ক্ষেত্রে। সেটা দেখতে গেলুম আমরা। সিং ভুমি বা সারাণ্ডাতে যেখানে বনের মধ্যে পাহাড়ী ঝর্ণা সেখানেই সৌন্দৰ্য্য-এ ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। সুন্দর পাথর বিছানো ঠাণ্ডা জায়গায় জলে পা ডুবিয়ে নিবিড় বনছায়ার বসে ঝর্ণার মৰ্ম্মীর-ধ্বনি শুনতে লাগলুম একা একা। চোখে পড়চে শুধু গভীর নিঃস্তব্ধ অরণ্য, যেদিকে চাই। বেলা বারটায় ফিরে এলুম। বিকেলে বোনাই স্টেটের বালজুড়ির দিকে যে রাস্তা গিয়েচে পর্বত ও অরণ্য ভেদ করে সেদিকে চললুম। সামনে ঘোর জঙ্গলের DD DDD SBD BL0 LE m BD S DDBYYzY DDLLLLSSDBD এখন জঙ্গলে যাওয়া ঠিক হবে না। এই তো জানোয়ারদের বেরুবার সময়। যদি হাতী তাড়া করে ওপরের দিকে উঠে পালাতে গেলেই হাতীতে ধরবে, বড় বিপজ্জনক । মাকড়সার জাল বনে সর্বত্র । সুতরাং ফিরলুম। একটা বড় পাথর বিছানো স্থানে গাছের তলায় বসলুম। সন্ধ্যা হয়ে আসচে, সামনের জমি ঢালু হয়ে গিয়ে সিংলুম নালার খাতের দিকে চলেচে । তার ওধারে ঘোর বনে সমাচ্ছন্ন শৈলমালা, অন্ধকার দেখাচ্ছে। একটা গাছের ডাল মাথার অনেক ওপরে নত হয়ে আছে। মন এ সব স্থানে সম্পূর্ণ অন্যদিকে যায়। কত ধরনের চিন্তা মনে আসে । জীবনের রহস্যের গভীরতাৱ দিকে আপনা। আপনি ছুটে চলে। ግ e