পাতা:হে ক্লান্ত স্বদেশ আমার.pdf/৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থে সংকলিত ৪৮টি কবিতার মধ্যে স্বদেশের খণ্ড-ছিন্ন-ভগ্ন রূপের উন্মোচনকারী কবিতার সংখ্যা কম করেও অর্ধেকের বেশী হবে । এদের ভিতর ভূমিজ সন্তান, ছিন্ন মানচিত্রে, সংলগ্ন সত্তায়, ‘স্ব-দেশীয়, ‘স্ব-দেশে স্ব-জন এলে, "কেন যে এখন দেশ,’ ’দেশকাল ভালোবাসা' ‘হায় দেশ, ‘স্ব-দ্বেষে তাই স্বপ্ন ভাঙি, এখন হৃদয়ে, 'দীর্ণ দীনের স্বাধীনতা তুমি, দেশের জন্য প্রভৃতি রচনা সমধিক উল্লেখযোগ্য অনুভবের আন্তরিকতা আর চিত্রকল্পের বৈশিষ্ট্রর কারণে। তবু তারও মধ্যে ‘সংলগ্ন সত্তায় আর "দীর্ণ দীনের স্বাধীনত তুমি’ সবচেয়ে উৎকৃষ্ট । প্রথম নামীয় কবিতার কয়েকটি লাইন— এখন স্ব-দেশ মানে পৃথিবীর মানচিত্রে ভাঙা চোরা রেখার অস্বয় এখন স্ব-দশ মানে পাহাড় নদীতে ঘেরা ভৌগোলিক স্থান এখন স্ব-দেশ মানে ভাষণে ও গানে গানে বিমুগ্ধ বিলাস এখন স্ব-দেশ মানে বিধ্বস্ত ঐতিহ্যে কষ্টকল্প করুণ আখ্যান এখন স্ব-দেশ মানে সমস্যায় সমাচ্ছন্ন সমূহ সময় এখন স্ব-দেশ মানে বিক্ষোভ অভিমান রক্তগত ভয় । একই ভাবের নিরবচ্ছিন্ন প্রবহমানতায় পাঠকের ক্লাস্তি আসার সম্ভাবনা ছিল কিন্তু কবি সেই সম্ভাবনাকে রহিত করেছেন বেশ কিছু ভিন্ন স্বরের রচনার সংযোজনার দ্বারা । এই ভিন্নস্বাদী রচনাগুলির মধ্যে পড়ে রবীন্দ্রনাথ ও বিবেকানন্দের স্মৃতিতে উৎসর্গীকৃত কবিতা, কলকাতার বিজন সেতু, আসামের নেলী প্রভৃতি জায়গা এবং ত্রিপু রার মান্দলাইয়ে অনুষ্ঠিত বীভৎস হত্যালীলার বিরুদ্ধে তীব্র ঘৃণার অভিব্যক্তি মূলক মানবিক ক্ৰন্দনের কবিতা, বিচ্ছিন্নতাবাদের প্রতিবাদী কবিতা ‘মহান ঐক্যের মহাতুদিনে, কারাপ্রাচীরের অন্তরালে বন্দী তরুণ দেশপ্রেমী আর ফুটপাতের শিশুকে উদ্দেশ করে লেখা প্রভৃতি কবিতা । হে ক্লান্ত স্বদেশ আমার