পাতা:হোমিওপ্যাথি মতানুযায়ী গার্হস্থ্য চিকিৎসাপ্রণালী.pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপক্রমণিকা । R নিয়মাদি বিশেষৰূপে লিখিতে হইলে অত্যন্ত বাহুল্য হয়। অতএব নিতান্ত প্রয়োজনীয় প্রকারমাত্র এভদগ্রন্থে সন্নিবেশিত করা গেল। " প্রাচীন গ্রন্থকৰ্ত্তাগণ পরীক্ষা তিন প্রকার করিয়াছেন; প্রথম দর্শন, দ্বিতীয় স্পর্শন, তৃতীয় প্রশ্ন । দর্শন—রোগীর অবয়ব, বিশেষতঃ চক্ষু, জিহবা, ত্বকৃ ইত্যাদি, এবং মুত্র পুরীষাদির বর্ণ দর্শন। স্পৰ্শন—রোগীর শরীর বা বিশেষ কোন স্থানে হস্ত দ্বারা শীতোষ্ণাদি উপলব্ধি এবং হস্ত বা যন্ত্রাদি দ্বারা , হৃৎপিণ্ডের ও নাড়ীর গতির জ্ঞান । - প্রশ্ন-প্রথমতঃ রোগীর যে কারণে রোগোৎপত্তি হইয়াছে তাহা বিশেষ ৰূপে জিজ্ঞাসা দ্বারা পরিজ্ঞাত হওয়া । রোগীর ধাতু (অর্থাৎ বাতপিত্ত কফদি জনিত) জ্ঞাত হওয়া এবং তাহার পিতা মাতা অথবা পূৰ্ব্ব পুরুষগণের শারীরিক স্বাস্থ্য বিষয়ে অনুসন্ধান করা ইত্যদি। দশন—রোগীর অবয়বাদি দর্শনের বিষয় বিশেষ বিশেষ প্রকরণে লিখিত হইয়াছে অতএব তদনুসারে পরীক্ষা করিবে । এই ক্ষণে মূত্র পরীক্ষা বিষয়ে এ স্থানে কিঞ্চিৎ লেখা যাইতেছে। যৎকালে মুত্র, হরিদ্র বা রক্তবর্ণ হয় তৎকালে রোগ উপস্থিত হয় জানিৰে , যদ্যপি রক্তবর্ণ হইয়া নাড়ীর তীব্র গতি রাখে তাঙ্গ হইলে আন্তরিক উত্তাপ বৃদ্ধি হইয়া কোন প্রকার প্রদাহ বিশিষ্ট জ্বর বিদ্যমান আছে বোধ করবে। যদ্যপি জাফরানের বর্ণের ন্যায় হয় তাহা হইলে কামল রোগ স্থির করবে। যদি গাঢ় এবং কৃষ্ণবর্ণ হয় তাহা হইলে শরীরের ভিতর কোন প্রকার প্রদাহ বিশিষ্ট পচা অবস্থা ঘটিয়াছে, এবং তাহ গলিবার সম্ভব ( २ )