পাতা:হোমিওপ্যাথি মতানুযায়ী গার্হস্থ্য চিকিৎসাপ্রণালী.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$თ সদৃশ ব্যবস্থ। । আছে বিবেচনা করবে। যদ্যপি পুঁজ মিশ্রিত থাকে তাহা হইলে শরীরের ভিতরে কোন স্থানে পুঁজ হইয়াছে বিবেচনা করিবে । বদ্যপি শিশুর মূত্র দুগ্ধের ন্যায় দেখা যায়, তাহা হইলে অভ্যন্ত্র নাড়ি মধ্যে কৃমি হইয়াছে জানিবে। যদ্যপি রক্ত মিশ্রিত হয় তাহা হইলে মুত্রস্থলীতে প্রদাহ হইয়াছে বিবেচনা করিবে। যদ্যপি পিচ্ছিল হয়, তাহা হইলে মুত্রস্থলী হইতে শ্লেয়াবৎ পদার্থ নির্গত হইতেছে অথবা মুত্রস্থলীর উপরিভাগ কোন প্রকার অবান্তর পদার্থ দ্বারা বদ্ধ হইয়াছে জানিবে । স্পর্শন—শরীরের স্থান বিশেষে হস্ত দ্বারা স্পর্শ করিয়া যে প্রকারে পরীক্ষা করিবে তাহা বিশেষ বিশেষ প্রকরণে লিখিত হইয়াছে। তদনুসারে পরীক্ষা কৰ্ত্তব্য। এইক্ষণে নাড়ীর বিষয়ে কিঞ্চিৎ উল্লেখ করা যাইতেছে । নাড়ীর পরীক্ষার নিয়ম—রোগীর সহিত প্রথমতঃ আলাপ দ্বারা তাহণকে অন্যমনস্ক করিয়া তদনন্তর স্থির ভাবে স্বীয় অঙ্গুলি দ্বার রোগীর নাড়ী স্পর্শ করিয়া গতি অনুধাবন করিবে । কদাচ ব্যস্ত হইয়া বা হঠাৎ নাড়ী পরীক্ষা করিবেক না । স্বভাবতঃ নাড়ীর গতির নিয়ম । যুবকব্যক্তিদিগের পূর্ণবস্থায় সুস্থ সময়ে বিশেষতঃ দীঘারুতি পুরুষ হইলে নাড়ী দৃঢ় এবং চাপিলে সহজে ধমনী (শির) মধ্যে প্রবিষ্ট হয়, কিন্তু পূর্ণ সমগতি বিশিষ্ট, এবং এক মিনিটে ৭০ হইতে ৭৫ বার পৰ্য্যন্ত আঘাত হয়। স্থল খৰ্ব্বাকৃতি পুরুষের স্বাস্থ্যাবস্থায় ৭২ হইতে ৭৮ বার পর্যন্ত এক মিনিটে আঘাত হয়। দীঘারুতি যুবতী স্ত্রীলোকের নাড়ী ৮০ হইতে ৮৫ বার পর্য্যন্ত এক মিনিটে ‘আঘাত করে । কিন্তু পুরুষের ন্যায় তাহার নাড়ী সবলা বা পূর্ণ হয় না । সাত বৎসর হইতে চতুর্দশ বর্ষ বয়স্ক সুস্থ বাল