পাতা:হোমিওপ্যাথি মতানুযায়ী গার্হস্থ্য চিকিৎসাপ্রণালী.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপক্ৰমণিক । ১১ কের নাড়ী ৮০ হইতে ৮৬ বার এক মিনিটে আঘাত করে . তাহার স্নান বয়স্ক অর্থাৎ দন্ত নিখুঁত হওয়ার কাল হইতে সপ্তম বর্ষ পৰ্যন্ত স্থল বালকের নাড়ী এক মিনিটে ৮৬ হইতে ৯৬ বার পর্য্যন্ত আঘাত করে । সদ্যজাত শিশুর দন্তু নিৰ্গত হওয়া কাল পর্য্যন্ত স্বাস্থ্যাবস্থার নাড়ী এক মিনিটে ১০০ হইতে . ১২০ বার পর্য্যন্ত আঘাত করে । হ্রাসাবস্থার প্রথম কালে সুস্থ শরীরে পুরুষের প্রায়, ৭০ ও স্ত্রীলোকের ব্যুনাধিক ৭৫ বার নাড়ী এক মিনিটে অঘাত করে। বৃদ্ধাবস্থায় পুরুষের ৫৫ হইতে ৬৫ বার পর্যান্ত, এবং স্ত্রীলোকের ৬৫ হইতে ৭ বার পর্য্যন্ত এক মিনিটে নাড়া আঘাত করে । s নাড়ীর গতির প্রকৃণর ভেদ | পৌনঃপুন্য নাড়ী—এতদ্বারা নাড়ীর পৌনঃপুন্য গতি, , অর্থাৎ নাড়ীর স্বাভাবিক গতি অপেক্ষা কিঞ্চিৎ বেগ বুঝাইবে । মৃদু নাড়ী—এই শব্দদ্বারা নাড়ীর স্বাভাবিক গতি অপেক্ষা ধীরগতি অবলম্বন করিয়াছে জানিবে । । বেগবতী নাড়ী—ইহা দ্বারা ধমনী মধ্য দিয়া যে প্রকার দ্রুত গতিতে রক্তশ্রোত প্রবাহিত হয় তাহা বুঝাইবে । কঠিন নাড়ী—স্পর্শ দ্বারা দৃঢ় বোধহয় । কোমল নাড়ী—স্পর্শ করিলে ধমনীর মধ্য দিয়া অতি কোমল ভাবে রক্ত পরিচালিত হইতেছে বোধ হয় । বলবতী নাড়ী—যে নাড়ী চাপিলে অঙ্গলির নীচে হইতে বলের সহিত ঠেলিয় উঠে। স্ত্রী চাপূিলে অঙ্গুলির নীচে হইে দুৰ্ব্বলানাড়ী—ষাঙ্গা চাপিলে উপরে উঠতে পারে না ।