পাতা:হ য ব র ল - সুকুমার রায় (১৯৫২).pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

আমি বললাম, ‘সাত দুগুণে চোদ্দ।’

কাকটা অমনি দুলে-দুলে মাথা নেড়ে বলল, ‘হয়নি, হয়নি, ফেল্‌।’

আমার ভয়ানক রাগ হল। বললাম, ‘নিশ্চয় হয়েছে। সাতেক্কে সাত, সাত দুগুণে চোদ্দ, তিন সাত্তে একুশ।’

কাকটা কিছু জবাব দিল না, খালি পেনসিল মুখে দিয়ে খানিকক্ষণ কি যেন ভাবল। তার পর বলল, ‘সাত দুগুণে চোদ্দর নামে চার, হাতে রইল পেনসিল।’

আমি বললাম, ‘তবে যে বলছিলে সাত দুগুণে চোদ্দ হয় না? এখন কেন?’

কাক বলল, ‘তুমি যখন বলেছিলে, তখনো পুরো চোদ্দ হয় নি। তখন ছিল, তেরো টাকা চোদ্দ আনা তিন পাই। আমি যদি ঠিক সময় বুঝে ধাঁ করে ১৪ লিখে না ফেলতাম, তা হলে এতক্ষণে হয়ে যেত চোদ্দ টাকা এক আনা নয় পাই।’

আমি বললাম, ‘এমন আনাড়ি কথা তো কখনো শুনি নি। সাত দুগুণে যদি চোদ্দ

১২