পাতা:হ য ব র ল - সুকুমার রায় (১৯৫২).pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

খেলে কি হয়? খেলে শেয়ালদের গলা কুট্‌কুট্ করে, কিন্তু কাগেদের করে না। তার পর একজন সাক্ষী ছিল, নগদ মূল্য চার আনা, সে আসামে থাকত, তার কানের চামড়া নীল হয়ে গেল—তাকে বলে কালাজ্বর। তার পর একজন লোক ছিল সে সকলের নামকরণ করত—শেয়ালকে বলত তেলচোর, কুমিরকে বলত অষ্টাবক্র, প্যাঁচাকে বলত বিভীষণ—’ বলতেই বিচার সভায় একটা ভয়ানক গোলমাল বেধে গেল। কুমির হঠাৎ খেপে গিয়ে টপ্ করে কোলাব্যাঙকে খেয়ে ফেলল, তাই দেখে ছুঁচোটা কিচ্ কিচ্ কিচ্ কিচ্ করে ভয়ানক চ্যাঁচাতে লাগল, শেয়াল একটা ছাতা দিয়ে হুস্ হুস্ করে কাক্কেশ্বরকে তাড়াতে লাগল।

প্যাঁচা গম্ভীর হয়ে বলল, ‘সবাই চুপ কর, আমি মোকদ্দমার রায় দেব।’ এই বলেই কানে-কলম-দেওয়া খরগোশকে হুকুম করল, ‘যা বলছি লিখে নাও: মানহানির মোকদ্দমা, চব্বিশ নম্বর। ফরিয়াদী—সজারু। আসামী— দাঁড়াও। আসামী কই?’

৫৭