ও কয়েকটী বালক ছোট ছোট aluminium পাত্রে সভ্য সমাজে প্রচলিত বিবিধ খাদ্যের tabloids ও এক এক গ্লাস জল দিয়া গেল। ভোজনাদির পর বন্ধুর নিকট বিদায় লইয়া আমরা স্ব স্ব গৃহে প্রত্যাবর্ত্তন করিলাম।
দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ।
একটা প্রবাদ আছে যে কোন কার্য্য “তৃতীয় কর্ণ” হইলে তাহা আর গুপ্ত থাকে না। আমাদের সকলের ইচ্ছা ছিল যে বন্ধুবরের প্রস্তাবটী সাধারণের নিকট গুপ্ত থাকে। প্রাতে pneumatic postএ যখন ডাক আসিল, তখন অন্য দিনের অপেক্ষা পত্রাদির সংখ্যা অধিক দেখিয়া কিঞ্চিৎ আশ্চর্য্য হইলাম। প্রথম পত্রখানি দেখি আমার জ্যেষ্ঠ সহোদর এলাহাবাদ হইতে লিখিয়াছেন। তাহার এক অংশ উদ্ধৃত করিতেছি:—“…………… পরে একটা কথা শুনিয়া আশ্চর্য্য বোধ করিলাম। শুনিলাম তুমি কোন একটা জুয়াচোরের পাল্লায় পড়িয়াছ এবং সম্ভবতঃ সর্ব্বস্বাস্ত হইবে। দেখ, এখন দিন কাল বড়ই ভয়ানক পড়িয়াছে। তোমার কয়েকটী নাবালক শিশুসন্তান আছে। তুমি তাহদের কি ভাসাইয়া দিতে মনস্থ করিয়াছ? ব্যাপারখানা কি খোলসা করিয়া লিখিবে। সংবাদটা আমি এখানকার “বার্ত্তাবহের” বিশেষ সংস্করণে পাইয়াছি।—” এক এক করিয়া সকল পত্র পাঠ করিলাম। প্রায় সকলগুলি বন্ধু ও আত্মীয়দিগের নিকট হইতে আসিয়াছে। সকলেই ব্যাপারটা জানিতে ইচ্ছুক এবং সকলেই সাবধানের সহিত কার্য্য করিতে উপদেশ দিয়াছেন। তাহার পর সংবাদপত্রগুলির মোড়ক খুলিলাম। “প্রভাতী” খুলিয়াই দেখি বড় বড় অক্ষরে আমাদের কল্যকার সভার