পাতা:১৫১৩ সাল.pdf/২৬

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১৫১৩ সাল।
১৫

চলিয়া গিয়াছে। আমার বোধ হয় সে কলিকাতায় ফিরিয়া আসিয়াছে এবং এখন “প্রভাতী” সম্পাদকের নিকটই আছে।”

 “বাঃ! বাঃ! এ একটা মস্ত উপন্যাস খাড়া করিয়াছ দেখিতেছি। যাহা হউক, “প্রভাতী” সম্পাদক যে এত নীচ তাহা আমার বিশ্বাস ছিল না। ওঃ।”

 “একটা কথা জিজ্ঞাসা করিতে পারি কি? উহার এত ক্রোধের কারণ কি?”

 “কারণ এমন বিশেষ কিছুই নাই। তবে একটা কথা মনে পড়িতেছে। অনেকদিন পূর্ব্বে একদিন বৈকালে সে আমার সহিত সাক্ষাৎ করিতে আসে এবং কথা-প্রসঙ্গে বলে, যে সে শীঘ্রই এক অভিনব পত্রিকা বাহির করিবে। বিশেষ করিয়া জিজ্ঞাসা করায় সে বলিল যে সে একখানি দৈনিক “রুমাল বার্ত্তাবহ” প্রকাশ করিতে ইচ্ছুক হইয়াছে—”

 বন্ধুবরকে বাধা দিয়া জিজ্ঞাসা করিলাম:—

 “রুমাল বার্ত্তাবহ কি?”

 ঈষৎ হাস্য করিয়া তিনি উত্তর দিলেন:—

 “রুমাল, যাহাকে ইংরাজীতে handkerchief, বলে, তাহারই উপর দৈনিক সংবাদ ছাপাইয়া প্রকাশ করা। ইহার সুবিধা এই যে কাগজ যেমন পড়া হইয়া গেলে মোড়কাদি করা ব্যতীত অন্য কোন কার্য্যে আসে না, এই রুমাল জলে ধুইয়া ফেলিলে বিবিধ কার্য্যে লাগাইতে পারা যায়। তাহার এরূপ প্রস্তাব ছিল যে যাঁহারা ইচ্ছা করিবেন তাঁহারা রুমালাগুলি জমাইয়া মাসে মাসে পত্রিকার কার্য্যালয়ে পাঠাইয়া দিলে অর্দ্ধেক দাম ফেরত পাইবেন। ইহাতে উভয় পক্ষেরই সুবিধা—”

 “এত এক সম্পূর্ণ নূতন ব্যাপার দেখিতেছি।”

 “বড় নূতন নহে। আজ প্রায় ২০০ বৎসর পূর্ব্বে স্পেনে এইরূপ