১৫১৩ সাল।
৬৩
একটী নিশ্বাস ত্যাগ করিয়া কাপ্তেন মহাশয় বলিলেন:—
“তাহাই হইবে। আমি ইহার যথার্থ bearing লইয়া রাখিব।”
আর বিলম্ব না করিয়া আমরা স্বস্থানে প্রত্যাবর্ত্তন করিলাম।
কাপ্তেন মহাশয় এক ঈঙ্গিত করিয়া সবমেরিন্ চালাইতে হুকুম দিলেন। কিন্তু অর্দ্ধঘণ্টা কাটিয়া গেল, তথাপি উহা চলিল না।
তিনি একটু চিন্তিত হইয়া পড়িলেন ও সত্বর এই কথা আমাদিগকে জানাইলেন। বন্ধুবর সকল যন্ত্রাদি পরীক্ষা করিয়া দেখিলেন। কোথাও কোন ত্রুটী দেখা গেল না। ব্যাপার কিছু গুরুতর বোধ হইল।
আমি উদ্বিগ্নচিত্তে বলিয়া উঠিলাম:—
“এখানেও নিশ্চয়ই শত্রুর চর চুকিয়াছে। সে কোনরূপ অনিষ্টের চেষ্টা করিতেছে। বোধ হয় আমাদিগকে এই সমুদ্রগর্ভে প্রোথিত করিয়া রাখা তাহার মনোগত ইচ্ছা।”
বন্ধুবর বলিলেন—
“তাহা হইতে পারে।” পরে কাপ্তেন মহাশয়কে সম্বোধন করিয়া বলিলেন:—“চলুন, একবার আশ্ পাশ্ ভাল করিয়া পরীক্ষা করিয়া দেখা যাউক।”
অতি সত্বরই উভয়ে ডাইভিং পোষাক পরিধান করিলেন। আমিও তাঁহাদের অনুগমন করিলাম। তড়িতালোকে বহুদূর উদ্ভাসিত হইতেছিল। আমরা চারি পার্শ্ব ভাল করিয়া দেখিলাম।
সহসা বন্ধুবর এক বিকট হাস্য করিয়া বলিলেন:—
“যাহা ভাবিয়ছিলাম তাহাই ঘটিয়াছে। কাপ্তেন মহাশয়, একবার বোটের তলভাগ দেখুন।”
কাপ্তেন মহাশয় চীৎকার করিয়া বলিয়া উঠিলেন:—
“বাঃ! এ যে কতকগুলি মৎস্য দেখিতেছি। উহারাই কি আমাদিগের গতিরোধ করিয়াছে। উহারাই কি আমাদিগের শত্রুর চর?”