পাতা:১৯০৫ সালে বাংলা.pdf/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

[ ১০৪ ]

চতুর্থ প্রস্তাব।

 এই প্রস্তাবে স্বয়ং সভাপতি মহাশয় বিলাতী পণ্য বর্জ্জনের প্রসঙ্গ উত্থাপিত করিয়াছিলেন। বাবু সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, মৌলবী আবুল হোসেন, মাননীয় ভূপেন্দ্রনাথ বসু, বাবু শচীন্দ্রপ্রসাদ বসু, শ্রীযুক্ত কালীপ্রসন্ন কাব্যবিশারদ এই প্রস্তাবের সমর্থন করিয়া বক্তৃতা করিয়াছিলেন। সুরেন্দ্রবাবু মহিলাগণকে সম্বোধন করিয়া বিলাতী দ্রব্য বর্জ্জনে দৃঢসংকল্প হইতে অনুরোধ করেন। মাঙ্গলিক হুলুধ্বনি সহকারে রমণী সমাজ সে প্রস্তাবে সম্মতিজ্ঞাপন করেন।


পুলিশের প্রবেশ।

 কাব্যবিশারদ মহাশয় বক্তৃতা করিতেছিলেন, এমন সময়ে পুলিশ সাহেব মিঃ কেম্প সশস্ত্র পুলিশ ফৌজ লইয়া মণ্ডপের দ্বারদেশে উপস্থিত হইলেন। কিন্তু দ্বারস্থিত একজন ভলণ্টিয়ার তাঁহাকে সভাস্থলে প্রবেশ করিতে দিল না। তিনি ভিতরে প্রবেশ করিবার চেষ্টা করিলে ভলণ্টিয়ার (মুকুন্দলাল) তাঁহাকে বাধা দিয়া বলিল, “কাপ্তেনের অনুমতি ভিন্ন আমি কাহাকেও বিনা টিকিটে ভিতরে প্রবেশ করিতে দিব না।” তখন মণ্ডপের বাহিরে বহুসংস্যক বন্দুক ও লগুড়ধারী পুলিশ দণ্ডায়মান ছিল, দ্বারস্থিত ভলণ্টিয়ার তথাপি ভীত হয় নাই। মিঃ কেম্প মণ্ডপে প্রবেশ করিতে অসমর্থ হইয়া বাবু অশ্বিনীকুমার দত্ত ও সমিতির সম্পাদক বাবু রজনীকান্ত দাস মহাশয়ের সহিত সাক্ষাৎ করিবার,