পাতা:৪২ - প্রচার পুস্তিকা (১৯৫১).pdf/৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই শাসন ও শোষণের অনিবার্য্য প্রতিক্রিয়া দেখা দিলো ভারতবাসীর বৈপ্লবিক চেতনার মধ্যে। সন্ত্রাসবাদের পথ থেকে গান্ধীজী প্রবর্তিত অহিংস পথে বিবত্তিত হলো ভারতের মুক্তি সংগ্রাম। দুশো বছরের অধীনতা-বন্ধন ছিন্ন হবে গেল। কবে?

১৯৪৭-এ নয়-১৯৭২-এই তা সম্ভব হলো। অহিংস সংগ্রামের শেষ অধ্যায়ে ইংরেজের সে দম্ভ আর রইল না, তারা আগ্রহ প্রকাশ করলো ভারতবাসীর সঙ্গে আলোচনা করতে। এগিয়ে এলো শান্তির প্রস্তাব নিয়ে। কিন্তু সর্ব ছিল মাত্র একট-ছাড়ো ভারত। যে বৈপ্লবিক শক্তির প্রচণ্ড আঘাতে সাম্রাজ্যবাদীকে ভারত ছেড়ে যেতে হলো-এ চিত্র তারই রূপায়ণ মাত্র।

বাংলার ছোট্ট একটি

গ্রাম-আলিনান। নগর

জনপদ অতিক্রম করে বিয়াল্লিশের আন্দোলনের তরঙ্গ এসে আঘাত করলো এই গ্রামের ভটপ্রান্ত। জমিদারের বাড়ী দখল করে সামরিক কর্তৃপক্ষ তাদের একটা খাঁটি বসিয়েছে এখানে। গ্রেপ্তারের পূর্ব্বমুহূর্তে স্থানীয় কংগ্রেস-সেক্রেটারী বলে গেলেন-জাতীয় মুক্তি আন্দোলনে তারা কখনো পেছনে পড়ে থাকেনি। এবারেও যেন তাঁর গ্রামবাসী মহাত্মাজীর নিদ্দেশে সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

ঝাঁপিয়ে তারা পড়লো। তাদের মন্ত্র-করেঙ্গে ইয়ে সরেঙ্গে। তাদের দাবী-ছাড়ো ভারত। খবর এলো গান্ধীজীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে- গ্রেপ্তার করা হয়েছে কংগ্রেসের সমস্ত নেতৃবৃন্দকে আর কংগ্রেসকে ঘোষণা করা হয়েছে। বে-আইনী প্রতিষ্ঠান। জনসভা। শোভাযাত্রা। সংঘর্ষ। বেয়নেট-গুণী-গ্রেপ্তার-ছোট্ট গ্রামখানিতে শুর হলো প্রলয়-কাণ্ড।