৫
তরুণ কংগ্রেস কর্মী অজয় আর তার স্ত্রী বীণা গ্রামবাসীদের উৎসাহে মাতিয়ে তুললো। রসিদ মহম্মদ, হরি মোড়ল, দাস্থ কামার, তার মেয়ে ময়না, অজয়ের বৃদ্ধা ঠাকুমা—যে যেখানে ছিল গ্রামের সমস্ত নরনারী ঝাঁপিয়ে পড়লো মুক্তি-সংগ্রামে । ময়নার গ্রেপ্তার এবং নির্যাতনের মুখে তার আত্মবলি সারা গ্রামবাসীকে বিক্ষুব্ধ করে তুললো । মৰ্ম্মাহত দাস্থ কামার বলে–এর প্রতিকার চাই । সত্যাগ্রহী অজয় বলে — অহিংসা আমাদের একমাত্র অস্ত্র । অজয়ের বৃদ্ধা ঠাকুমা বলেন—ঠিক কথা ৷ তবে আত্মসম্মান রক্ষা করবার জন্যে, গান্ধীজী বলেছেন, প্রত্যেক নারী সঙ্গে রাখবে একখানা অস্ত্র । দাস্থ কামার পাগলের মত ছোরা তৈরী করে দিনরাত, আর সেগুলো বিলিয়ে দেয় গ্রামের প্রত্যেক মেয়ের মধ্যে । বিশ্বাসঘাতক মণ্ডল মহাজন এই সংবাদ পৌছে দিল মিলিটারী কর্তৃপক্ষের কাছে । স্বৈরাচারের দ্বিতীয় বলি হলো—দাস্থ কামার । বিপ্লবের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে সারা গ্রামে । আত্মগোপন করে বিপ্লবের পরিচালনা করে কর্মীরা। পরিকল্পনা হয় সমস্ত ঘাঁটি দখল করতে হৰে । একটা দলের নেতৃত্ব গ্রহণ করে বীণা । হিন্দু-মুসলমানকে হাত করে এই পরিকল্পনা আর প্রস্তুতি ভাঙ্গবার ব্যর্থ চেষ্টা করে মেজর । আবার সংঘর্ষ আবার অত্যাচার। অজয়ের বাড়ীতে আগুন লাগিয়ে দিল ওরা। বীণার ছেলেটি মারা গেল । আর অজয়কে ওরা নিয়ে গেল গ্রেপ্তার করে । বন্দীর ওপর চলে নির্যাতন । আসামীর কাঠগড়া থেকে অজয় ঘোষনা করে কংগ্রেসের নীতি, গান্ধীজীর নির্দেশ । শত্রুর কবল থেকে অজয়কে উদ্ধার, করে তার দলের কর্মীরা।প্রচার পুস্তিকা