সংগ্রামের মধ্যে এমনি একদল মির্জাফর ছিল ঐ বিশ্বাসঘাতক মণ্ডল। এই মণ্ডলেরা চিরকাল এমনি শয়তানী করে থাকে । এরা স্বদেশপ্রেমের সুযোগ নিয়ে দেশের শত্রুতা করে । এদের সবাই চেনে ৷ আজ আমাদের নবলব্ধ স্বাধীনতাকে বাঁচাতে হলে এই রকম দেশদ্রোহীদের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে । শত সহস্র বীরের প্রাণোৎসর্গে আমরা যে স্বাধীনতা লাভ করেছি, তা আমরা আর কোনমতেই হারাতে পারিনা— যেমন করেই হোক সে স্বাধীনতা রক্ষা করতেই হবে । ... ... ছবির কাহিনী এখানেই যে মৰ্ম্মবাণী তাই ... শেষ—কিন্তু এর আজ আমাদের উপলব্ধি করতে হবে গভীরভাবে । দাসত্বের গুরুভার শৃঙ্খল আজ আমাদের থেকে ছিঁড়ে গেছে—কিন্তু এখনও আমরা চরম সংকট উত্তীর্ণ হতে পা পারিনি। পরবশ্যতা থেকে মুক্ত হয়ে আমরা যে সুযোগ আজ লাভ করেছি—এরই পরিপূর্ণ সদ্ব্যবহারের ওপর নির্ভর করছে আমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ । আজ এসিয়ার দৃষ্টি—পৃথিবীর দৃষ্টি ভারতের ওপর—একথা যেন আমরা না ভুলে যাই। নিজেদের মধ্যে আর যেন দলাদলির প্রশ্রয় দিয়ে ভেদবিভেদ-অনৈক্য সৃষ্টি করে নীতিকে দুর্ব্বল না করি । মহাত্মাজীর ‘রামরাজ্য' স্থাপনের স্বপ্ন সফল করবার দায়িত্ব আমাদেরই । আত্মঘাতী অন্তর্বিপ্লবের পথে এ স্বপ্ন সফল হবেনা, সন্ত্রাসবাদের পথে এ স্বপ্ন সফল হবেনা । এ স্বপ্ন সফল হবে স্বাধীন ভারতের প্রত্যেক নরনারীর পারস্পরিক নিবিড় ঐক্য আর মিলনের ভেতর দিয়ে । আগষ্ট আন্দোলনের মর্ম্মবাণী এই ৷
পাতা:৪২ - প্রচার পুস্তিকা (১৯৫১).pdf/৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।