(106)
যে আজ্ঞা মহাশয়। বলিয়া আসি।
যা শীঘ্র করিয়া বলিয়া আয়।
তৎকথা।
এই যে মহাশয় জমাদার সাহেব আসিয়াছেন।
কেমন হে জমাদার মুহরিরা এখনতক কেহ আইসে নাই।
মুহরিরা আসিয়াছে। কেন তাহারদের মহাশয়।
তুমি এই রাইয়তকে লইয়া যাও মুহরিদিগের কাছে দেখিতে বল ইহার পাট্টায় কত বিঘা জমী জমা লেখা যায়। ইহার পাট্টা দেখিয়া হিসাব করিয়া লইয়া আইস।
যে আজ্ঞা মহাশয়। ইহাকে কাছারি লইয়া যাই।
যাইয়া মুহরিরদিগকে কহিল। এ রাইয়তের পাট্টা দেখিয়া হিসাব করুন কর্ত্তা কহিয়াছেন।
ও রাইয়তের হিসাব করাই আছে আজি আর কি হিসাব করিব।
মহাশয় আমার হিসাব কি প্রকার করিয়াছেন শুনি নাই। আমাকে বুঝাইয়া দেউন।
তুই প্রতিমাসে হিসাব করিস তবু তোর মনে থাকে না ঠেঁটা এক বেটা।
আমার মহলে কত জমী তোমরা লেখ তাহা রাতি দিন আমি কিছু বুঝিতে পারি না।
তোর মহলে সাবেক যে জমী লেখা যায় তাহা এখন কিছু কমি হইয়াছে।
সাবেক যে জমী মহলে লেখা আছে তাহাহইতে দুই বন্দ ব্রহ্মত্র দিয়াছেন আর জমী আছে।
তোর মহলহইতে কবে ব্রহ্মত্র দেওয়া গিয়াছে ব্রহ্মত্রের সাতে তোর কি।
ভট্টাচার্য্য মহাশয়কে যে জমী ব্রহ্মত্র দিয়াছেন সে কাহার মহলহইতে।