পাতা:Intermediate Bengali Selections.pdf/২০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৮৬
সমর্থ রামদাস স্বামী

ভাষায় বিবিধ গ্রন্থ রচনা করিয়াছেন; এবং অপরকেও তৎকার্য্যো প্রবৃত্ত করিতে চেষ্টা করিয়াছেন, দেখিতে পাই। এই সময়ে মহারাষ্ট্রদেশে বামন পণ্ডিত নামক একজন সুপ্রসিদ্ধ সংস্কৃতত্ত্বপণ্ডিত ছিলেন। যমকালঙ্কারযুক্ত করিতা রচনায় তৎকালে তাহার সমকক্ষ আর কেহ ছিল না। তিনি অধিকাংশ পণ্ডিতকে বিচারে পরাস্ত করিয়াছিলেন। সংস্কৃত শাস্ত্রে অতিশয় পারদর্শিতা হেতু মহারাষ্ট্রীয় ভাষার প্রতি তাহার অত্যন্ত বিরাগ ছিল। পরে রামদাস স্বামীর সহিত আত্মতত্ত্ব-বিষয়ক বিচারে পরাজিত হইলে,— স্বামিজী তাহাকে বলিলেন,—“বর্ত্তমানকালে বুদ্ধির স্থূলতাবশতঃসংস্কৃত ভাষা জন সাধারণের দুর্বোধ্য হইয়া উঠিয়াছে। সুতরাং অধুনা সংস্কৃত ভাষার চর্চায় সাধারণের কোনও উপকারের সম্ভাবনা নাই। এই নিমিত্ত ভগবানের আদেশ এ যে, আপনি বেদাদিশাস্ত্রের মর্ম্ম মারাঠী ভাষায় সঙ্কলিত ও প্রকাশিত করিয়া জাতীয় ভাষাকে পবিত্র, স্বীয় জীবনকে সার্থক ও সাধারণের উপকার, সাধন করুন।” রামদাস স্বামীর এই উপদেশে বামন পণ্ডিতের” চক্ষু ফুটিল। তিনি সংস্কৃতজ্ঞতার বৃথা অভিমানে আর মত্ত না থাকিয়া, মহারাষ্ট্রীয় সাহিত্যের উন্নতি বিধানে চেষ্টিত হইলেন। নিগমসার প্রভৃতি গ্রন্থ এই চেষ্টার ফলস্বরূপ।

 রামদাস স্বামী অশ্বচালনায় বিশেষ দক্ষ ছিলেন। রঙ্গনাথ। স্বামী, জয়রাম স্বামী প্রভৃতি তাৎকালিক সন্ন্যাসিগণও সশিষ্য, অশ্বারোহণে ভ্রমণ করিতেন। অশ্বারোহণ তাৎকালিক সাধারণ শিক্ষার একটি প্রধান অঙ্গ ছিল।

 স্বদেশের হিত সাধন শিবাজীর জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল। রামদাস স্বামীরও জীবনের লক্ষ্য তাহাই ছিল বলিয়া,