পাতা:Intermediate Bengali Selections.pdf/২৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२७ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর লরেন্স * ডুবাইয়া দিয়া দুনিয়ার মালিক কিরূপ করুণা প্রকাশ ও মঙ্গল সাধন করিলেন, এক নিঃশ্বাসে তিনি তাহা আবিষ্কার করিতে পারিতেন না। বস্তুতই দুঃখদাবানলের কেন্দ্রস্থলে উপবেশন করিয়া জগতের মঙ্গলময়ত্ব সম্বন্ধে বক্তৃতা করা তাহার প্রকৃতির বিরুদ্ধ ছিল। বোধ করি সেই জন্যই ঈশ্বর ও পরকাল সম্বন্ধে নিজ মত প্রকাশ করিতে তিনি চাহিতেন না। তাহার প্রবৃত্তি তাহাকে যে কর্ত্তব্যপথে চালাইত, তিনি সেই পথে চলিতেন। মানুষ্যের প্রতি কর্ত্তব্যসম্পাদনা করিয়াই তিনি সন্তুষ্ট থাকিতেন; গণ্ডগোলে প্রবৃত্ত হইবার তাহার অবসর ছিল না। এমন দিন কবে আসিবে, যে দিন মনুষ্যসমাজ সাম্প্রদায়িক কোলাহলের হস্ত হইতে নিস্কৃতি পাইবে; যে দিন আপামর সাধারণ বিতণ্ডা ত্যাগ করিয়া বিদ্যাসাগরের অনুবত্তী হইয়া মানুষ্যের প্রতি কর্ত্তব্যনির্ণয়ে মন দিতে অবকাশ লাভ করিবে। বিদ্যাসাগর একজন সমাজসংস্কারক ছিলেন। তিনি নিজেই বলিয়াছেন, বিধবাবিবাহে পথ-প্রদৰ্শন তাহার জীবনের সর্বপ্রধান সৎকর্ম্ম। বস্তুতই এই বিধবাবিবাহ-ব্যাপারে আমরা ঈশ্বরচন্দ্রের সমগ্র মূর্ত্তিটা দেখিতে পাই। কোমলতা ও কঠোরতা উভয় গুণের আধাররূপে তিনি লোকসমক্ষে প্রতীয়মান হয়েন। প্রকৃতির নিষ্ঠুর হস্তে মানবনির্য্যাতন তাহার কোমল প্রাণকে দিবানিশি ব্যথিত রাখিত; দুর্বল মানুষ্যেৰ প্রতি নিষ্করণ প্রকৃতির অত্যাচার তাহার হৃদয়ের মর্ম্মস্থলে ব্যথা দিত; তাহার উপর মনুষ্যবিহিত সমাজবিহিত অত্যাচার, তাহার পক্ষে নিতান্তই অসহ্য হইয়াছিল। বিধাতার

  • এই নামে একখানা জাহাজ ৭ • • যাত্রিসহ কলিকাতা হইতে পুরী यादेवांब्र १ाथ नमूल्य झिग्रा भश्र श्।