পাতা:Intermediate Bengali Selections.pdf/২৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“SRමar 이 ১লক্ষ্মণকে বলিয়াছিলেন “রামং দশরথং বিদ্ধি মাং বিদ্ধি জনকাত্মজাম। অযোধ্যামটবং বিদ্ধি গচ্ছ তাত যথাসুখম।” -যাও বৎস, স্বচ্ছন্দমনে বনে যাও-রামকে দশরথের ন্যায় দেখিও, সীতাকে আমার ন্যায় মনে করিও এবং বনকে অযোধ্যা বলিয়া গণ্য করিও। মাতার চক্ষুর অশ্রুবিন্দু লক্ষ্মণ পাইলেন না, বরং সুমিত্রা তাহাকে যেন কর্ত্তব্যপালনের জন্য আগ্রহসহকারে ত্বরান্বিত করিয়া দিলেন “সুমিত্রা গচ্ছ গাচ্ছেতি পুনঃ পুনরুবাচ তম।” —সুমিত্রা তাহাকে পুনঃ পুনঃ “যাও যাও” এই কথা বলিতে লাগিলেন। মৌন সন্ন্যাসী আত্মীয় সুহৃদবর্গের উপেক্ষা পাইয়াছিলেন, কিন্তু তাহা তিনি মনেও করেন নাই, রামচন্দ্রের জন্য যে শোকোচ্ছাস, তাহার মধ্যেই তিনি আত্মহারা হইয়া পড়িয়াছিলেন। তিনি কাহারও নিকটে বিলাপ প্রত্যাশা করেন নাই, রামপ্রেমে র্তাহার নিজের সত্তা লুপ্ত হইয়া গিয়াছিল। আরণ্যজীবনের যাহা কিছু কঠোরতা, তাহার সমধিক ভাগ লক্ষ্মণের উপর। পড়িয়াছিল,-কিংবা তাহা তিনি আহলাদ-সহকারে মাথায় তুলিয়া লইয়াছিলেন। গিরিসানুদেশের পুষ্পিত বন্যতরুরাজী হইতে কুসুমচয়ন করিয়া রামচন্দ্র সীতার চুর্ণকুন্তলে পরাইয়া দিতেন; গৈরিকরেণু দ্বারা সীতার সুন্দর ললাটে তিলক রচনা করিয়া দিতেন; পদ্ম তুলিয়া সীতার সহিত মন্দাকিনী-তীরে অবগাহন করিতেন, কিংবা গোদাবরীতীরস্থ বেতসকুঞ্জে সীতার