পাতা:Intermediate Bengali Selections.pdf/২৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R80 व्लीका° লক্ষ্মণ ভূমির সমতা সম্পাদনা করিয়া খনিত্রহস্তে বৃত্তিকাখননে প্রবৃত্ত হইলেন। আর এক দিনের দৃশ্য মনে পড়ে,-গভীর অরণ্যে চারিদিকে কৃষ্ণসৰ্প বিচরণ করিতেছে, পথহারা বিপন্ন পথিকত্রয় রাত্রিবাসের জন্য জঙ্গলের নিভৃতে বৃক্ষনিম্নে শুইয়া আছেন, সীতার সুন্দর মুখখানি অনশন ও পর্য্যটনে একটু হতশ্রী হইয়া পড়িয়াছে। রামচন্দ্রের এই দুঃখময়ী রজনীর কষ্ট অসহ্য হইল,—তিনি লক্ষ্মণকে অযোধ্যায় ফিরিয়া যাইবার জন্য বারংবার পীড়াপীড়ি করিতে লাগিলেন, “এ কষ্ট আমার এবং সীতারই হউক, তুমি ফিরিয়া যাও, শোকের অবস্থায় সাস্তুনাদান করিয়া আমার মাতাদিগকে পালন করিও।” লক্ষ্মণ স্বীয় স্নেহ-সম্বন্ধে বেশী কথা কহিতে জানিতেন। না, রামের এবম্বিধ কাতরোক্তিতে দুঃখিত হইয়া বলিলেন— “ন হি তাতং ন শত্রুঘ্নং ন সুমিত্রাং পরস্তাপ। দ্রষ্টুমিচ্ছয়মন্ত্যাহং স্বৰ্গঞ্চিাপি ত্বয়া বিনা ৷” —আমি পিতা, সুমিত্রা, শক্রত্ন, এমন কি স্বৰ্গও তোমাকে ছাড়িয়া দেখিতে ইচ্ছা করি না। কবন্ধ মরিল, জটায়ু মরিলেন; আমরা দেখিতে পাই, লক্ষ্মণ নিঃশব্দে সমাধিস্থল খনন করিয়া কাষ্ঠ আহরণপূর্বক কবন্ধ ও জটায়ুর সৎকার করিতেছেন। দিবারাত্র তাহার বিশ্রাম ছিল না—এই ভ্রাতৃসেবাই তাহার জীবনের পরম আকাজক্ষার বিষয় ছিল। বনে আসিবার সময় তাহাই তিনি বলিয়া আসিয়াছিলেন “ভবাংস্ত সহ বৈদেহা গিরিসানুষু রংস্তেসে। অহং সর্ব্বং করিষ্যামি জাগ্রতঃ স্বপত্যশ্চ তে। ধনুরাদায় সগুণং খনিত্রপিটকাধরঃ॥”