পাতা:Intermediate Bengali Selections.pdf/৩২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

QuoV আগ্নেয় গিরি এখন বেশ বড় হইয়াছে, মুনি স্বয়ং তাহাদিগকে সকল বিদ্যা শিক্ষা দিয়াছেন, একাদশ বর্ষবয়ঃক্রমে ক্ষত্রিয়-বিধান-মতে উপনয়ন দিয়া, গুরুদেব বাল্মীকি তাহাদিগকে বেদবিদ্যায় পর্য্যন্ত পারদর্শী করিয়াছেন। তাহদের মেধা, তাহদের জ্ঞান,-সকলই বিস্ময়কর। তাহাদের সঙ্গে আমরা পড়িয়া উঠিতে পারি না,-সেই বাল্মীকিরই আশ্রমে এই অধ্যয়নশীল বালকদিগকে দেখিয়া, দর্শকগণ নিজ নিজ মনে সেই কথার আলোচনা করিতে লাগিলেন। “এও ত বাল্মীকির তপোবন, ইহারাও ত বেদাধ্যয়ন-তৎপর, প্রতিভাশালী বিদ্যার্থী, ইহাদের অনেকেরও তা বয়ঃক্রম ১২, ১৩ বৎসরের অধিক নহে। এ সব কি?-একি কোন মায়া না মোহ, ইন্দ্রজাল না বাস্তব, কিছুই ত ঠিক বুঝিতে পারিতেছি না।”—এইরূপ নানা বিতর্কে, নানা চিন্তায়, দর্শকগণ ক্রমে একান্ত সন্দিহান হইয়া পড়িলেন। কি সুন্দর কৌশলে, সৃষ্টিনিপুণ শ্রীকণ্ঠ, ধীরে ধীরে গ্রন্থের প্রতিপাদ্য বিষয় ক্রমে স্কুটতর করিতে লাগিলেন, এবং সেই সঙ্গে, বেদনা-কাতর সামাজিকসমূহের সবেদন হৃদয়েও আশ্বাসের শীতল প্রলেপ দিলেন, শান্তির জল প্রোক্ষণ করিলেন। দর্শকবৃন্দ উষাসমীর-স্নাত পর্য্যটকের ন্যায় সাকাজক্ষ-হৃদয়ে ঐ সব দৃশ্য দেখিতে এবং বালকগণের ঐ সুধা-নিস্তান্দিনী বচন-পরম্পরা শ্রবণ করিতে লাগিলেন। যখন কথায় কথায়, তাহদের একজন বালক বলিল, “ভাই, স্নাতক ব্যক্তি অতিথিরূপে উপস্থিত হইলে, মাংসমিশ্রিত মধুপর্কের দ্বারাই তাহার অভ্যর্থনার নিয়ম। বশিষ্ঠ প্রভৃতি আসিলেও সেই প্রথা দেখিয়ছিলাম, আজ মহর্ষি জনক আসিলেন, এক্ষেনে অন্য প্রকার অভ্যর্থনা কেন? নিরামিষ মধুপৰ্ক কেন?” তখন সমবেত দর্শকমণ্ডলীর হৃদয়, যেন কোন