পাতা:Intermediate Bengali Selections.pdf/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ढनव्र्नि (? ১ সেখানে সমাজশাসনের বল কুষ্ঠিত হইয়া থাকে। সমাজশাসন কুষ্ঠিত হইলে ক্রমশঃ জাতীয় ভাবও বিলুপ্ত হইয়া যায়, জনগণের মধ্যে পরস্পর সহানুভূতির নৃত্যুনতা জন্মে এবং ধর্ম্মবুদ্ধির মূল অশক্ত হইয়া পড়ে। আমাদের এই পরাধীন দেশে এখন ঐ রূপ হইতেছে। আমাদের রাজা ভিন্ন-জাতীয়, ভিন্ন-ধর্ম্মাবলম্বী; এবং অনেকস্থলেই আমাদের সামাজিক নিয়মের এবং শাসনের বিদ্বেষ্ট। কোন অপরাধের জন্য কাহার ধোপা নাপিত হুকা বন্ধ করা, তাহাকে একঘরিয়া করা প্রভৃতি সামাজিক শাসনের সহিত রাজপুরুষেরা সহানুভূতি প্রকাশ করিতে পারেন না। বরং যাহার। প্রতি ঐক্সপ সমাজশাসন বিহিত হইয়াছে, সে ব্যক্তি যদি রাজারে যাইয়া নালিশ করে, তবে কোনরূপে দণ্ডবিধি আইনের মধ্যে ফেলিয়া উক্তরূপ সামাজিক শাসন-বিধানকারী সমাজের নেতৃবৰ্গকে দণ্ডিত করিতে পারা যায় কি না, সেই দিকেই যেন প্রথমে রাজপুরুষদিগের দৃষ্টি যায় বলিয়া অনেকেরই বিশ্বাস। “আক্রমণ” “ভয় প্রদৰ্শন” “মিথ্যাপবাদ রটন” প্রভৃতি অপরাধসম্বন্ধে ইংরাজী দণ্ডবিধি আইনের ধারাগুলি এমনি দূরব্যাপী যে, কাহাকেও সমাজশাসনে শাসিত করিবে অথচ দণ্ডবিধি আইনের এইরূপ কোন একটি ধারার মধ্যে পড়িয়া দণ্ডনীয় হইবে না, এরূপ হওয়া একেবারে অসম্ভব বলিলেও চলে। তবে যদি সমগ্র সমাজের লোক একজোট হয়, যদি প্রকৃত প্রস্তাবে অপরাধীর প্রতি সকলেরই ঘূণার উদ্রেক হয়, তাহা হইলে, অপরাধীর সহিত সমাজস্থ সকলের বাক্যালাপ পর্য্যন্ত বন্ধ হইয়া যাওয়ায় সকল বিয়া বিপত্তি অতিক্রম করত।