পাতা:Intermediate Bengali Selections.pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেকাল আর একাল سیb ছিলেন, তাহার স্ত্রী ডাইল পাক করিতেছিলেন। তিনি স্বামীকে রন্ধনশালায় বসাইয়া পুষ্করিণীতে জল আনিতে গেলেন। এদিকে ডাইল উথলিয়া উঠিল। ভট্টাচার্য্য দেখিলেন, বিষম বিপদ। ডাইল উথলিয়া পড়া কি প্রকারে নিবারণ করিবেন, কিছুই স্থির করিতে না পারিয়া হাতে পইতা জড়াইয়া পতনোন্মুখ ডাইলের অব্যবহিত উপরিস্থ শূন্যে তাহা স্থাপন করিয়া চণ্ডীপাঠ করিতে লাগিলেন; কিন্তু তাহাতেও তাহা নিবারিত হইল না। এমন সময় তাহার ব্রাহ্মণী পুষ্করিণী হইতে ফিরিয়া আইলেন। তিনি কহিলেন, “এ কি? ইহাতে একটু তেল ফেলিয়া দিতে পার নাই?” এই বলিয়া তিনি ডাইলে একটু তেল ফেলিয়া দিলেন। ডাইলের উথলিয়া পড়া নিবারিত হইল। এই ব্যাপার দেখিয়া ভট্টাচার্য্য গললগ্নীবাস হইয়া করযোড়ে ব্রাহ্মণীকে বলিলেন, “তুমি কে আমার গৃহে অধিষ্ঠিতা বল; অবশ্য কোন দেবী হইবে, নতুবা এই অদ্ভুত ব্যাপার কি প্রকারে সাধন করিতে পারিলে?” যদ্যপি এই গল্পে বাহুল্য-বর্ণনার সুস্পষ্ট চিহ্ন লক্ষিত হইতেছে, তথাপি উহা যে সে কালের ভট্টাচার্য্যদিগের অসামান্য সারল্যের পরিচয় প্রদান করিতেছে, তাহার। আর সন্দেহ নাই। ভট্টাচার্য্যদিগের অবৈষয়িকতার আর একটি সুন্দর গল্প আছে। এক জন ভট্টাচার্য্য পুথি পড়িতেছিলেন; পড়িতে পড়িতে অনেক রাত্রি হইলে তাহার তামাক খাইবার বড় ইচ্ছা! হইল। তখন ভট্টাচার্য্য মহাশয় একখানি টীকা লইয়া বাটীর বাহির হইলেন। দেখিলেন দূরে একটা পাজা পুড়িতেছে। তিনি আস্তে আস্তে সেই স্থানে টীকা ধরাইতে উপস্থিত হইলেন,