পাতা:Reminiscences Speeches And Writings Of Sir Gooroo Dass Banerjee Reminiscences pt. 1.pdf/৩৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

TRIBUTES TO HIS MEMORY. 357 দণ্ডায়মান ছিল। আমি তাহার বড় কাছে গিয়া পড়িবার সৌভাগ্য লাভ করিয়াছিলাম। “ সেই জন্য হয়ত ভাল করিয়া আমি তাহাকে বুঝিতে পারি নাই। কোনও জিনিষকে ভাল করিয়া দেখিতে গেলে যেটুকু দূরে দাড়াইয়া দেখিতে হয়, আমার বোধ হয় সেটুকু দূরত্ব ছিল না। আমি তাহার নিকট শিষ্যের মত, ভক্তের মত, সন্তানের মত গিয়াছিলাম। তিনিও আমাকে যে মোহ দান করিয়াছিলেন, তাহার মত নেহ০ অন্যের নিকট কখনও পাই নাই, পাইব না। যখনই গিয়া তাহার পদতলে বসিতাম, তখনই তিনি নানা কথার ছলে তঁহার জীবনের আলোক আমার দিকে ফিরাইয়া ধরিতেন। সে পুণ্যস্পর্শে নিজের দৈন্য যে কেবল মাথা নত করিয়া তাহার চরণ ধুলির নিয়ে পড়িত, তাহা নহে; মনে হইত, পিতামাতা যেমন আপন শিশুর ধূলি মলিনতা সযত্নে মুছইয়া তাহাকে আপনার অঙ্কে তুলিয়া লন, তেমনই তিনি সমস্ত দৈন্য ঘুচাইয়া সকলকে আপনার পার্থে বসাইতেন। কেহ বুঝিতে পারিত না, তিনি কত বড়। এই যে অভিমানলেশবর্জিত মহানুভাব, ইহা আর কাহারও নিকটে গিয়া অনুভব করি নাই। আমি আমার দিক দিয়াই তাহার কথা বলিতেছি। কিন্তু এ কথা, র্যাহারা গুরুদাস বাবুর সম্পর্কে আসিয়াছেন, তঁহাদের সকলের সম্বন্ধেই খাটে। বাঙ্গালীর মধ্যে র্যাহারা বর্তমান যুগে সর্বাপেক্ষা প্রতিভাশালী বলিয়া গণ্য, তাহারা সকলেই চরিত্র গৌরবের জন্য গুরুদাস’ বাবুর প্রতি শ্রদ্ধাবান ছিলেন। সার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের ন্যায় কর্ম্মবীর এদেশে অতি অল্পই জন্মগ্রহণ করিয়াছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ই তেঁাহার প্রধান কর্ম্মক্ষেত্র ছিল। এ ক্ষেত্রে গুরুদাস বাবুর মতের সহিত সব সময়ে