ভাগবত—রাজারাম দত্ত—১৭শ শতাব্দী। ъгъ >. শুনিয়া হইল রাজা বড়ই চিন্তিত। কুকর্ম্ম করিল ভীম বড় অনুচিত। জনার্দ্দন আমার কর্তা তার আমি দাস। তার সঙ্গে বাদ কৈলে জীবনের নাশ॥ স্বষ্টি-স্থিতি-প্রলয়ের কর্তা নারায়ণ। রাজ্য-সুখ ভোগ মোর তাহার কারণ॥ হেন প্রভু সনে বাদ করিবার চায়। বিপরীত করেছে ভীম না দেথি উপায়॥ এত বলি নৃপতি মাএর স্থানে গেল। মাএর গোচরে গিয়া সকলই কহিল ৷ শুন মাতা ভীমসেন প্রমাদ করিল। গোবিন্দের সঙ্গে ভীম বিবাদ বাড়াইল। বুড়ীর কারণে দণ্ডী রাজার সহিত। কৃষ্ণ-সনে বিসস্বাদ হৈল উপস্থিত। পৃথিবীর মধ্যেতে অবন্তী-নরবরে। কেহ ত শরণ দিয়া না রাখিল তাবে॥ ভীম তারে রাখিয়াছে দিয়াত অভয়। কৃষ্ণ-সঙ্গে বিসম্বাদ হইল নিশ্চয়॥ কৃষ্ণের সহিত যদি বিসম্বাদ হৈল। ভীমসেন ওগো মাতা প্রমাদ ঘটাইল। অতএব মাতা তুমি ভীম স্থানে যায়। আপনি যাইয়া তুমি ভীমেরে বুঝায়। দণ্ডীরে রাখিলে মাতা হইবে প্রমাদ। গোবিন্দের সঙ্গে তবে হইব বিবাদ॥ সত্বরে তাহারে ভীম দেউক ছাড়িয়া। যথা ইচ্ছা তথা আপনে যাউক চলিয়া॥ ধর্ম্মরাজ-মুখে শুনি এতেক বচন। অৰ্জুন ও কুন্তীর ভীমের নিকটে গেলা কুন্তী ততক্ষণ॥ নিষেধ। - কুন্তী সহ একত্র হইয়া তিন ভাই। শীঘ্রগতি উত্তরিল ভীমসেন-ঠাই॥ মাতা দেখি ভীমসেন সন্ত্রমে উঠিল। সম্ভাষণ করিয়া আসন আনি দিল।
- >