প্রহ্লামের দেীত্য। বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। তোমার বচন আমি বেদ-তুল্য মানি। কদাচিৎ লজি নাই শুন নৃপমণি॥ জ্ঞানে বা অজ্ঞানে আমি এ কর্ম্ম করেছি। অবশু রাখিব আমি মনেতে ভেবেছি। কণ্ঠেতে যাবৎ মোর প্রাণ যে থাকিব। নিশ্চয় কহিলাম আমি দণ্ডী না ছাড়িব। যদি মোর প্রাণ যায় তাহার কারণ। তথাপি তাহারে না ছাড়িব কদাচন ৷ চরণে ধরিয়া কহি করিয়া বিনয়। আর আজ্ঞা না করিহ ধর্ম্ম মহাশয় ৷ এই অপরাধ রাজা ক্ষমা কর মোরে। যে করিতে পারে কৃষ্ণ করিবে আমারে। ভীমের শুনিয়া রাজা এমত ভারতী। মনে মনে ভাবে রাজা হৈল বিপরীতি ৷ বিধাতা বিপাকে মোর কৈল উপস্থিত। ভাবিতে ভাবিতে রাজা মনেতে চিন্তিত। এত ভাবি ধর্ম্মরাজ নিঃশব্দ হইল। ভ্রাতৃগণ-সঙ্গে রাজা মন্ত্রণা করিল। অৰ্জ্জুন প্রভৃতি সঙ্গে লএ ভ্রাতৃগণ। মন্ত্রণা করয়ে রাজা কি করি এখন॥ হেথায় কৃষ্ণের দূত দণ্ডাদেশ হোতে। দ্বারকা নগরে গেল কৃষ্ণের সাক্ষাতে॥ কহিল কৃষ্ণের স্থানে সকল বৃত্তান্ত। যে সকল হইল কহিল আদ্যোপান্ত॥ তুরঙ্গী লাগিয়া সেই দণ্ডী নৃপমণি। পাত্র মিত্র যত ছিল যত রাজরাণী॥ পুত্রে রাজ্য দিয়া রাজা তুরঙ্গ লইয়া। সে দেশ হইতে দণ্ডী গেল পলাইয়া॥ শুনিঞা কহিল কৃষ্ণ কথাএ যাইব। যথা গেছে তথা গিয়া খুজিয়া মারিব। স্বর্গে বা পাতালে কিবা থাকে পৃথিবীতে। আকাশে থাকয়ে কিম্বা থাকে সমুদ্রেতে॥
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/১০১৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।