ভাগবত—রাজারাম দত্ত—১৭শ শতাব্দী। b-b" অবন্তীদেশের রাজা দণ্ডী দুরাচার। কৃষ্ণের সহিত হৈল শক্রতা তাহার॥ শরণ না পাইল সেই সকল ভুবনে। তারে আশ্বাসিয়া রাখিয়াছে ভীমসেনে॥ এ কথা গোবিন্দ দেব আশ্চর্য্য শুনিয়া। আমাকে তোমার স্থানে দিল পাঠাইয়া॥ ঘুড়ী সঙ্গে দণ্ডীকে যে পাঠাইয়া দেউক। নতুবা অনর্থ বড় পশ্চাতে হবেক। ইহাতে কল্যাণ রাজা নাহিক নিশ্চিত। কৃষ্ণের বিক্রম যত তোমাকে বিদিত॥ জানিয়া করহ কার্য্য উচিত যে হয়। এই আমি কহিলাম শুন মহাশয়॥ প্রত্যুম্নের বাক্য সব এমত শুনিয়া। নিঃশব্দ হইল রাজা মৌনব্রত হয়্যা ৷ তাহা শুনি কুপিত হইল ভীম বীর। উত্তর দিলেন বীর নির্ভয়-শরীর॥ শুনহ প্রদ্যুম্ন তুমি আমার বচন। ভীমের উক্তি। রাজায় দেখাহ ভয় কিসের কারণ॥ দণ্ডীকে রেখেছি আমি আপনার বলে। যে করিতে পারে কৃষ্ণ করুন গোপালে ৷ দণ্ডীকে বলহ তুমি অপরাধী করি। কোন পক্ষে অপরাধ বুঝিতে না পারি। বনেতে পেয়েছে অশ্ব তার কিবা ভয়। কি কারণে করে কৃষ্ণ অধর্ম্ম আশ্রয়। তে কারণে আসিয়াছে আমার সদনে। আমি রাখিয়াছি তারে অভয় বচনে॥ দ্যায় পক্ষে রাখিয়াছি দণ্ডী রাজা আমি। অন্যায় করিতে চাহ কি কারণে তুমি ৷ কহ গিয়া কামদেব কৃষ্ণের গোচরে। যত শক্তি আছে কৃষ্ণ করুন আমাবে।
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/১০১৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।