ভাগবত-রাজারাম দত্ত—১৭শ শতাব্দী। b-b一。 স্বর্গে যুদ্ধ করিয়া যে ইন্দ্র খেদাইল। বহুকাল স্বর্গে সেই ইন্দ্রত্ন করিল। তাহার তনয় হৈল প্রহ্লাদ যে নাম। বিষ্ণু-ভক্তি বড় সেই বৈষ্ণব গুণবান। অক্সরের ধর্ম্ম বিষ্ণুর নিন্দার বিষয়। পুত্রেরে বৈষ্ণব দেখি বড় ক্রোধ হয়। মারিবারে চেষ্টা পাইল অনেক প্রকারে। গোবিন্দ-প্রসাদে মৃত্যু না হৈল তারে॥ প্রহ্লাদেরে বলে তবে হিরণ্যকশিপু। শুন রে পাপিষ্ঠ পুত্র তুমি মোর রিপু॥ কৃষ্ণ কৃষ্ণ সর্ব্বদা বলহ কি কারণে। আমার পরম শক্র সেই নারায়ণে॥ তোর সেই নারায়ণ থাকয়ে কথায়। কিরূপ ধরয়ে সেই কহত আমায়॥ প্রহলাদ বলেন রাজা শুন মোর বাণী। সর্ব্বভূতে আছে প্রভু সেই চক্রপাণি॥ সর্ব্বভূতে তার গতি আছে সর্ব্ব ঠাই। পরম পুরুষ সেই জগত গোসাঞি॥ রাজা বলে এই স্তম্ভ দেখি বিদ্যমান। ইহাতে কি আছে তোর প্রভু ভগবান॥ প্রহলাদ বলেন দৈত্য শুন মোর বাণী। সর্ব্বদা সর্ব্বের মধ্যে থাকে চক্রপাণি॥ এত শুনি হিরণ্য যে দৈত্যের ঈশ্বর। অমনি তীক্ষু খড়গ লয়্যা উঠিল সত্বর॥ ভক্তের যে কার্য্য রক্ষা করিতে নারায়ণ। স্তম্ভ হৈতে বাহির হইল ততক্ষণ॥ মহাভয়ঙ্কর মূর্ত্তি ধরিয়া শ্রীহরি। বাহির হইল তবে দেবতা মুরারি। হিরণ্যকশিপু দৈত্য প্রচণ্ড দুর্ব্বার। ইঙ্গিতে নখেতে চিরি করিল বিদার। দেবশক্তি ধরে সেই দেব ভগবান। এমত জনারে ভীম কর অপমান॥ >> &
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/১০১৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।