পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/১০২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮৯২ বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। ত্রিশ অক্ষৌহিণী সেনা সংহতি করিয়া। জরাসন্ধ নৃপতি তবে মথুরাতে গিয়া। বারে বারে কৃষ্ণদেবে করেন বা জয়। মারিয়া অনেক সৈন্ত করিলেক ক্ষয়। হেন জন সঙ্গে চাহ বিবাদ করিতে। না হয় উচিত ভীম কহিলাম তোমাতে॥ মত্তত হইয়া তুমি না দেখ এখনে। সঙ্কটে পড়িবে যবে জানিবে তখনে॥ ভীমের উত্তর। ভীম বলে যে বলিলে প্রত্যুম্ন কুমার। ইহাতে তিলেক ভয় নাহিক আমার॥ যাহ তুমি কহিবা গিয়া গোবিন্দের স্থানে। দণ্ডীকে রেখেছি আমি শুনহ বচনে॥ যত শক্তি থাকে কৃষ্ণ করুন আসিয়া। দণ্ডীকে নেউন কৃষ্ণ আমারে জিনিয়া ৷ গদাধর দাসের জগন্নাথ-মঙ্গল। গদাধর দাস সিঙ্গিগ্রাম-নিবাসী প্রসিদ্ধ মহাভারতকার কাশীদাসের কনিষ্ঠ ভ্রাতা। ইনি ১৬৪৫ খৃষ্টাব্দে জগন্নাথ-মঙ্গল রচনা করেন। বিশেষ বিবরণ কবি স্বয়ং জগন্নাথ-মঙ্গলের ভূমিকায় দিয়াছেন, তাহ পাদ-টীকায় উদ্ধৃত হইল। (১) কৃষ্ণ-বন্দন। সর্ব্বৈশ্বর্য্য সর্ব্বপ্রাণ প্রণমহ ভগবান শ্রীনন্দ-নন্দন সুরেশ্বর। অতি আদি পুরাতনে নিন্দি ইন্দু নবঘনে সদা নর-সুর-মনোহর॥ (>) ভাগৱন্ধ তীরে বটেইন্দ্রায়ণ নাম। তার মধ্যে প্রতিষ্ঠিত গণি সিঙ্গিগ্রাম॥ অগ্রদ্বীপের গোপীনাথের বাম পদতলে। নিবাস আমার সেই চরণ-কমলে॥ তাহাতে শাণ্ডিল্য গোত্র দেব যে দৈত্যারি।