ভাগবত-গদাধর দাস-১৭শ শতাব্দী। জগন্নাথ-বন্দন। ধরণী লোটায়ে মাথা পরম মঙ্গলদাতা প্রথমে প্রণাম জগন্নাথ। পরম পুরুষ ব্রহ্ম প্রকৃতি অব্যক্ত কর্ম্ম সর্ব্ব ধর্ম্ম এক প্রণিপাত॥ জান পাদপদ্ম-মর্ম্ম পতিত-পাবনী জন্ম শিরে সদা ধরে সদানন্দ। অনাদি-নিদান-দাতা অখিল ব্রহ্মাণ্ড-কর্তা অনন্ত অদ্ভুত আদি কন্ধ॥ লীলায় কন্ধর নীল্যে। লবণ জলধি-কুলে চারি চারু চারি কলেবর। সহিত নীলাক্ষি নীলাম্বর॥ ধন্ত শ্রীপুরুষোত্তম ত্রিভুবনে নাহি সম যথায় বিরাজে দেবরাজ। যাহার উচ্ছিষ্ট অন্ন শমন দমন চূর্ণ ব্রহ্মা বিষ্ণু ব্রত যজ্ঞ কাষ। নয়ন নলিনী-পত্র অরুণ বসন যত অধরোষ্ঠ পীযুষ-সমুদ্র। আহার প্রাণের আশে আইসে মানব-বেশে ব্রহ্মা আদি রবি চন্দ্র ইন্দ্র॥ নবঘন কুঞ্জ আভা শশী কোটি মুখ-শোভা শরদিন্দু-তিলক ললাটে। এ মুখ-দর্শনে নরে নরক হ্রস্তর তরে ঘোর দ্বন্দ্ব মায়াবন্ধ কাটে॥ ব্রহ্মাও-আশ্রয় যার ছায়া। লেপিত চন্দন পীত বনমালী বিভূষিত অঙ্গদাদি কঙ্কণ বলয়॥ জগত মঙ্গল ধাম জয় জগন্নাথ জাম যমভয় শ্রবণে বিনাশে। সে নাম ভরসা করি এ ভব হ্রস্তর তরি আচ্ছাদন গদাধর দাসে॥ bēసి(
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/১০২৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।