ভাগবত—দ্বিজ পরশুরাম-১৭শ শতাব্দী। b-SS) আজি তেঁহ লক্ষ্মীকান্ত দ্বারক-ভুবনে। আর নাকি আমাকে তার পড়িবেক মনে॥ অখিল ব্রহ্মাণ্ডপতি শিরোমণি সে। কেনে মোরে ধন দিবেন আমি তার কে॥ শুনিঞ ব্রাহ্মণী কহেন স্বামীর সাক্ষাতে। শুন শুন প্রাণনাথ কবি নিবেদন॥ তাহার চরণারবিন্দ যে করে স্মরণ। তাহারে আপনা দেন প্রভু নারায়ণ॥ বড় তুষ্ট হব প্রভু তোমা বন্ধু দেখি। আপনাকে দিবেন প্রভু ধন কিসে লিখি॥ লক্ষ্মীকান্ত নারায়ণ জগতের সার। তাহা বিনু দয়ার ঠাকুর নাই আর॥ পুনঃ পুনঃ ব্রাহ্মণী কহিল যদি এত। শুনিএ সুদামা বিপ্র হইলা সম্মিত॥ এমন পরম ভাগ্য হইব আমার। দ্বারকা-যাত্র। দেখিব সাক্ষাতে আজি দৈবকীকুমার। এতেক শুনিএ বিপ্র ব্রাহ্মণীকে কয়। ঘরে কিছু আছে যদি দিব্য উপায়ন॥ এ মোর পরম ভাগ্য কৃষ্ণ হেন সখী। রিক্ত হস্তে কেমনে করিব তারে দেখা ৷ শুনিএল ব্রাহ্মণী এত স্বামীর উত্তর। ভিক্ষ মাগিবারে গেলেন নগর ভিতর॥ চারি মুষ্টি ক্ষুদ ভিক্ষ পাইল চারি ঘরে। প্রথমতঃ হেন গুলি লইল সাদরে॥ ভগ্নবস্ত্রে বাধিয়া আনিল ক্ষুদের পুটলি। স্বামীর আগে আনি দিল হয়্যা কুতুহলী॥ ক্ষুদের পুটলি বিপ্র নিল কাখে করি। কৃষ্ণ-দরশনে যান দ্বারক-নগরী। পথে পথে যান বিপ্র ভাবে মনে মন। কেমতে হইব মোর কৃষ্ণ-দৰশন॥
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/১০২৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।