ভাগবত—দ্বিজ পরশুরাম–১৭শ শতাব্দী। নানা দ্রব্য উপহারে ভোজন করান তারে সখী-সন্মিলন। মুখশুদ্ধি তাম্বুল কপূরে। তবে প্রভু চক্রপাণি অগুরু চন্দন আনি ভূষিত করিলা দ্বিজবরে ৷ গোবিন্দ ব্রহ্মণ্য দেবে ব্রাহ্মণের পদ সেবে লক্ষ্মী দেবী ঢুলীএ চামরে। তাহা দেখি লোকজন বিস্ময় হইল মন পরস্পর কহে সভাকারে॥ শুন শুন ভক্ত লোক কৃষ্ণগুণ মোহে শোক হরি-কথা অমৃতের ধার। দ্বিজ পরশুরাম গায় ভজিএ সে রাঙ্গা পায় ভব-সিন্ধু কিসে হব পার॥ বসিলা সুদামা বিপ্র পালঙ্ক উপরে ক্ষিতিতলে বসিলেন প্রভু গদাধরে॥ কল্যাণ কুশল কহ কহ আগে সখা। চির দিনে আমার সহিত হইল দেখা ৷ গুরুকুলে আমরা পড়িতাম যখন। মনে কিছু পড়ে সখা সে সব কথন। একদিন গুরুমাত কহিল আমা সভাকারে। তৃণ কাষ্ঠ বাছ সব কিছু নাই ঘরে॥ রন্ধনের কষ্ট পাই তৃণ কাষ্ঠ বিনে। বাল্যস্মৃতি। কাষ্ঠ ভাঙ্গি বাছা সব আন গিয়া বনে॥ গুরুমাতার আজ্ঞায় আমরা যত শিষ্যগণ। কাষ্ঠ ভাঙ্গিবারে গেলাম গহন কানন॥ গহন কাননে গিয়া সে পরিলাম মোরা। আচম্বিতে সভার দিশা হৈনু হারা॥ পথহারা হৈয়া মোরা ভ্রমি বনে বনে। কোন পথে কোথা আইলাম জানিব কেমনে॥ কোনরূপে পথের করিতে নারি দিশ। রাত্রি উপস্থিত হৈল অন্ধকার নিশা॥ দৈবযোগে বিধাতা হে বিপাকে লাগিল। অকস্মাৎ ঝড় বৃষ্টি কোথা হৈতে আইল। సిరి:)
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/১০৩১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।