సిరి 8 ঋণ-দায়। বিশ্বকর্ম্মার প্রতি আদেশ। বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। সংসারের মধ্যে ঋণগ্রস্ত যেই জন। ভাবিতে চিন্তিতে কালী তাহার জীবন॥ ঋণ বৈ পাপ নাই সংসার-ভিতরে। তিন জন্ম সঙ্গে গোঙায় বলিল সভারে॥ একে সেই ঋণ আরে মুদাম ব্রাহ্মণ। কেমতে যাইব শোধ করিব কেমন॥ এতেক বলিয়া লক্ষ্মী ভাবে মনে মন। বিশ্বকর্ম্ম বলি তবে কৈলা স্মরণ॥ আসিয়া সে বিশ্বকর্ম্মা হেট কৈল মাথা। কি কারণে স্মরণ কৈলে জগতের মাত॥ লক্ষ্মী বলে বিশ্বকর্ম্মা শুনহ বচন। শীঘ্রগতি যাহ তুমি সুদামার ভবন॥ উত্তম বন্ধানে কর তার মধ্যে ঘর। তাহার কাছেতে রাখ দিব্য সরোবর॥ ইঙ্গিতে বিশ্বকর্ম্ম জানিল কারণ। শীঘ্রগতি গেলা সেই মুদামা-ভবন॥ সুবর্ণের ঘর দ্বার অতি মনোহর। সুবর্ণের কলস শোভে চালের উপর॥ চৌদিগে বেড়িয়া দিল মনোরম গড়। গোধন বেড়ায় গৃহে কত পালে পাল॥ তাহার কোণে সরোবর দেখিতে সুন্দর ৷ ভ্রমর ভ্রমরী সব করে কলরব ৷ ঐশ্বর্য্যের সীমা নাই দাস দাসীগণ। হস্তী ঘোড়া দেখি যেন ইন্দ্রের ভুবন॥ নানা আভরণ অঙ্গে দিতে নাই সীমা। সরোবরে স্নান করে কতেক অঙ্গন॥ দুঃখিনী ব্রাহ্মণী হইল লক্ষ্মীর সমান। তপস্তার ফলে দয়া কৈল ভগবান॥ সুবর্ণের ঘর দুয়ার সুবর্ণের পিড়ী। জরা মৃত্যু রোগ শোক কার নাহি পীড়া॥ এই সব বিশ্বকর্ম্ম করিয়া নির্ম্মাণ। চারি দিকে চাহিয়া দেখে নিশি অবসান॥
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/১০৩৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।