শ্রীকৃষ্ণের বেশ ও দোলায় আরোহণ। g শঙ্কর দাসের ভাগবত। (রচনা-কাল খৃষ্টীয় অষ্টাদশ শতাব্দী। ) দোল-লীলা। স্বৰ্গ-গঙ্গাজল তবে ব্রহ্মাএ লইয়া। কৃষ্ণকে করায় স্নান আনন্দিত হইয়া॥ স্নানোদক শিরে নিল সর্ব্ব দেবগণ। কৃষ্ণেরে করায়ে সর্ব্ব অঙ্গ-মার্জন॥ ইন্দ্র পরায় তবে বিচিত্র বসন। সর্ব্বাঙ্গে লেপন কৈল অগুরু চন্দন॥ চরণে নুপুর দিল রশনা কোমরে। নানা রত্বে নিরমিত বলয় দুই করে॥ ভুজযুগে তাড় দিল অতি মনোহর। রত্বের কুণ্ডল কর্ণে দেখিতে সুন্দর॥ নানা রত্বে নিরমিত গজমতি হার। আজানুলম্বিত দিল গলে বনমাল॥ ভালে গোরোচনা দিব্য করি ফোট। নীল মেঘেতে জেন বিজলীর ছটা॥ মস্তকে মুকুট দিল বিচিত্র নির্ম্মাণ। তুলনা দিবার নাহি তাহার সমান॥ শ্রীকৃষ্ণের বেশ কৈল দেব পুরন্দর। মহেশ থুইল নাম দেবের ঈশ্বর॥ কহিল ব্রহ্মারে শিব শুনহ বচন। দোলে চড়াইল কৃষ্ণ করিয়া শুভক্ষণ॥ শুভক্ষণে দোলে চড়েন দামোদর। পুষ্পবৃষ্টি করিলেন দেব পুরন্দর। দেব-দেবেশ্বর কৈল দোলে আরোহণ। সকল দেবতা কৈল চরণ বন্দন॥ রুদ্র পিতামহ শক্র আর দিবাকর। দোলের পীড়িতে তারা উঠিল সত্বর॥ চারি কোণে চারি দেব আসন ধরিয়া। কৃষ্ণকে দোলান তারা আনন্দিত হৈয়া॥
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/১০৩৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।