রাধার অবস্থা।এত যদি জান হরি ছাড় কেন কিশোরী
কিবা দোষ হইল রাধার।
শুন ওহে ঘনশ্যাম সদা জপে অবিশ্রাম
তব নামে অস্থিচর্ম্ম-সার॥
জল বিনে যেন মীন সদা হয় অতি ক্ষীণ
শেষ বিনে যেমন সংসার।
কাম বিনে যেন রতি সদা কান্দে দিবা রাতি
তোমা বিনে রাধার কে আর॥
সীতার শোকে রঘুনাথ বানর লইয়া সাথ
পাঠাইলা বীর হনূমানে।
যাইয়া পবন-সুত রণ কৈল অদভুত
মারিল বহুত চরগণে॥
কনক-লঙ্কা ছারখার রাক্ষস করে হাহাকার
কান্দে রাজা শিব শিব স্মরি।
সেই মত গোপ-নারী কান্দিয়া আকুল হরি
ছারখার হইল ব্রজ-পুরী॥
দৈত্যকুলে বলি রাজা তোমায় করিল পূজা
তারে নিলে পাতাল-ভুবন।
তোমার শরণ লয় তার দশা এই হয়
কি করিব ব্রজ-নারীগণ॥
নল পুণ্য-শ্লোক রাজা ত্রিভূবনে মহা-তেজা
তারে তুমি কৈলে বনচারী।
যে জন শরণ লয় তার দশা এই হয়
কান্দাইলে যত গোপনারী॥
সমুদ্র-মথন-কালে দেব দৈত্যে সুধা তুলে
বিভাগ চাহিলা দৈত্যগণ।
হয়্যা তুমি মোহিনী সভার হরিলা প্রাণী
মধ্যস্থ করিল আচরণ॥
দেবতা সহায় হরি দৈত্যগণে পরিহরি
দেবে সুধা দিলে শ্রীনিবাস।
বিশ্বাসঘাতকী করি দেবেতে[১] অমর করি
দৈত্যগণে করিলে নৈরাশ॥
- ↑ দেবতাদিগকে।