সুধা দিয়া সভা তুণ্ডে রাহু-দৈত্যের কাট মুণ্ডে
তুমি কর ব্যাধের আচার।
পঞ্চম বরষ কালে পূতনা বধিলে হেলে
নারী-বধের কি ভয় তোমার॥
শঙ্খাসুরের নারী পতিব্রতা সুন্দরী
তাহারে হরিলে ছল করি।
মারিয়া তাহার পতি মস্তকে রাখিলে সতী
সকল পার আপনি শ্রীহরি॥
তোমায় চিনে রাহু শনি পর্ব্বত কাট গুণমণি
সেই বটে তোমার * * *
যুক্তি করে যত নারী যদি না আইসে হরি
শনির করিব আরাধন॥
তাহারে বশ করি দুঃখ দিবেক হরি
তবে পূরে মনের বাসনা।
যে যার শরণ লয় তাহারে এমন হয়
অবিরত কান্দে ব্রজাঙ্গনা॥
সদা কান্দে ব্রজনারী যমুনায় পড়ে বারি
সবে ক্ষীণ প্রবল যমুনা।
তোমারে জান্যাছি দঢ় কাল-বরণ খল বড়
কত কব তব গুণকথা।
ভবানন্দ সেনে কয় বলিতে উচিত হয়
কহিবারে মনে পাই ব্যথা॥
উদ্ধবানন্দের রাধিকা-মঙ্গল।
মহেন্দ্রনাথ বিদ্যানিধির প্রবন্ধ হইতে উদ্ধৃত হইল (সন ১৩০৩ সালের পরিষৎপত্রিকা, ২২৫ পৃষ্ঠা)।
রাধিকার বেশ-বিন্যাস।