পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/১০৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভাগবত—ঈশ্বরচন্দ্র সরকার—১৯শ শতাব্দী।
৯২৫

বেদাচারে কংস শক্র লোকাচারে মাতুল।
বল দাদা কিসে হয় দুদিক প্রভুল॥
লোকাচারে বেদাচারে করিব গোপন।
বল কোথা পাই দাদা উত্তম বসন॥

এই কথা কৃষ্ণচন্দ্র বলিল যখন।
হেন কালে কংসের রজক দিল দরশন॥
রাজ-সভায় যায় রজক বসন লইয়া।
ধোপাকে ডাকেন হরি বিনয় করিয়া॥
কংস রাজার রজক ভয় নাই মনে।
যত ডাকে তত ষায় শুনেও না শুনে॥
তাহা দেখি ক্রোধ করে হইয়া অনিষ্ট।
ধোপার বস্ত্রের মোট কেড়ে লন কৃষ্ণ॥
রজক বলে কেরে তুই বালক দুর্জ্জন।
জাননা যে কংস রাজা দ্বিতীয় শমন॥
তাহার রজক আমি জান না কারণ।
জোর করে কেড়ে লও রাজার বসন॥
রজকের কটূক্তি।অজ্ঞান বালক তুই এ কি অসঙ্গত।
কটিদেশে ধটি আটা রাখালের মত॥
মরা ময়ূরের পাখা বাঁধিয়া মাথায়।
দস্যুগীরি কর্ত্তে বেটা এসেছ হেথায়॥
এমনি অতিশয় দুষ্টমি তোর দেখে।
কোন্‌ দ্বিজ পদাঘাত কৈল তোর বুকে॥
বামন হইয়া চন্দ্র ধরিবারে মন।
রাখাল হয়ে পর্ত্তে চাও রাজার বসন॥

এতেক ভর্ৎসনা যদি রজক করিল।
অনিষ্ট হয়ে শ্রীকৃষ্ণ গর্জ্জিয়া উঠিল॥
রজক-বধ।দক্ষ[১] করে রজকেরে করিয়া ধারণ।
চপেটাঘাতে কৈল তার মস্তক ছেদন॥

রজক বধ করি হরি লইল বসন।
কে পরাবে বস্ত্র চিন্তা করেন তখন॥

  1. দক্ষিণ।